ব্রাউজার উইন্ডোর উপরের ডান পাশের কোণা থেকে প্রোফাইল আইকন নির্বাচিত করে কিডস মোড চালু করে নেওয়া যাবে। চালু হয়ে যাওয়ার পর সামনে চলে আসবে বিভিন্ন রংয়ের এজ থিম – এগুলোতে দেখা মিলবে ডিজনি ও পিক্সার চরিত্রের – এবং সংরক্ষিত প্রায় ৭০টি ওয়েবসাইটে প্রবেশের সুযোগ পাবে শিশুরা।
অভিভাবকরা শিশুদের পছন্দ কাস্টমাইজ করে দিতে পারবেন। শিশুরা যা যা পছন্দ করে, তার ভিত্তিতে সাজিয়ে দিতে পারবেন এজ থিম।
প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ সিনেটের প্রতিবেদন বলছে, সবমিলিয়ে দুটি কিডস মোড রয়েছে, একটি পাঁচ থেকে আট বছর বয়সীদের জন্য, অন্যটি নয় থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য। দুটি মোড প্রায় একই রকম। তবে, তুলনামূলক বড়দের জন্য যে মোড রয়েছে, সেটিতে প্রাণী ও বিজ্ঞান বিষয়ক এমএসএনের নিউজ ফিড থাকবে শিশুদের জন্য।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যে ইন্টারনেট বিশ্বে শিশুদের নিরাপদ পদচারণা নিয়ে ভাবছে, গোটা পদক্ষেপটি সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। “এটি এমন একটি জিনিস যা আমাদের সব গবেষণার সময় ক্রমাগত উঠে এসেছে। অভিভাবকদের এ ব্যাপারে উদ্বেগ রয়েছে।” – বলেছেন এজ পণ্য পরিচালক দিব্য কুমার।
কিডস মোডে থাকার সময় এজ ব্রাউজারের গোপনতাও সবচেয়ে দৃঢ় সেটিংসে চলে যায়। এটি ‘ফুল স্ক্রিন মোডে’ সচল থাকে, টাস্কবার লুকিয়ে রাখে যাতে অন্যান্য অ্যাপ চলতে না পারে। কিডস মোড বন্ধ করার জন্যও রীতিমতো লগইন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে অভিভাবকদের।