প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার ৩-২ গোলে জিতেছে
বায়ার্ন। শিরোপাধারীদের হয়ে অন্য গোলটি করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ভলফসবুর্কের
হয়ে ব্যবধান কমান ভট ভেহর্স্ট ও মাক্সিমিলিয়ান ফিলিপ।
আসরে দুই দলের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে
২-১ গোলে জিতেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
টানা নবম শিরোপার লক্ষ্যে থাকা বায়ার্ন
২৯ রাউন্ড শেষে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে
লাইপজিগ। ভলফসবুর্ক ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে।
গত মঙ্গলবার পিএসজির মাঠে ১-০ গোলে
জিতেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নেয় বায়ার্ন।
গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার লেরয় সানে।
লিগে আগের রাউন্ডে ঘরের মাঠে ইউনিয়ন
বার্লিনের বিপক্ষে ১-১ ড্র করা দলটি ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। বাম প্রান্ত
দিয়ে আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে বল হারান আলফুঁস ডেভিস। তবে সেই বল পেয়ে যান মুসিয়ালা। দুই
জনকে কাটিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন তিনি। বল গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে জড়ায়।
ব্যবধান দ্বিগুণ হয় ২৪তম মিনিটে। এবার
বাম প্রান্ত থেকে আলফুঁসের উঁচু ক্রস গোলরক্ষক ঠেকালেও বল দখলে রাখতে পারেননি। পায়ের
কাছে বল পেয়ে ফাঁকা জালে ঠেলে দেন চুপো-মোটিং।
৩৫তম মিনিটে বাঁ থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে
নিচু শটে ব্যবধান কমান ডাচ ফরোয়ার্ড ভেহর্স্ট। দুই মিনিট পরই ব্যবধান আবার বাড়ান মুসিয়ালা।
এবার ডান প্রান্ত থেকে টমাস মুলারের উঁচু ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ১৮ বছর
বয়সী এই জার্মান।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে স্কোরলাইন
৩-২ করে স্বাগতিকরা। গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের ঠিক সামনে থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ
করেন ফিলিপ।
বল দখলে খুব একটা এগিয়ে ছিল না বায়ার্ন,
কিন্তু আক্রমণে এগিয়ে ছিল তারাই। ম্যাচে তাদের মোট ১৪ শটের ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে
সাত শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ভলফসবুর্ক।