শনিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আরও এক হাজার ৩৪১ জনের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতে এখন পর্যন্ত ভারত একদিনে আর এত মৃত্যু দেখেনি বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এতদিন সেটাই ছিল একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিন দৈনিক শনাক্তেও রেকর্ড দেখছে। গত ৯ দিনে ৮ বারই দেশটি আগের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে।
ভারতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের মোট সংখ্যা এখন এক কোটি ৪৫ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তিন কোটি ২০ লাখের বেশি শনাক্ত নিয়ে এর উপরে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস ভারতের পৌনে দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। দিল্লির কোনো কোনো হাসপাতালে এক শয্যা দুই রোগীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও চেয়ারে বসিয়েই চলছে রোগীর চিকিৎসা।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ছত্তিশগড় ও দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে মর্গের বাইরে ফেলে রাখা লাশের স্তূপ আর শ্মশানগুলোতে গণহারে দাহের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাবেও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ৬৩ হাজার ৭২৯ জন।
ভয়াবহ এ পরিস্থিতির মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। রাজ্যটিতে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস শেষ ৩ দফার ভোট একদিনে করতে অনুরোধ করলেও নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে কুম্ভমেলাতে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি নিয়েও চলছে তুমুল সমালোচনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।