টাইমল্যাপস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের ধারণকৃত দুই কোটি ৪০ লাখ ছবি, আটশ’ সংরক্ষিত ভিডিও এবং পারস্পারিকভাবে সক্রিয় নির্দেশিকা। ফিচারটির সাহায্যে বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের টাইমল্যাপস দেখতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
গোটা প্রকল্পে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে’র ল্যান্ডসেট কর্মসূচী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস কর্মসূচীর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, তাপপ্রবাহ এবং ঝড় আরও বেড়েছে এবং বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গুগল আর্থের টাইমল্যাপস টুল তীরবর্তী অঞ্চল, ক্রমাগত বর্ধমান শহুরে এলাকা এবং কৃষিভূমির পরিবর্তন তুলে ধরছে। পাশাপাশি হিমবাহ, বনাঞ্চল এবং নদ-নদী কমে যাওয়ার চিত্রও তুলে ধরছে।
এরকমই এক ভিডিওতে দেখা গেছে বলিভিয়ার নিকটবর্তী বনাঞ্চল উধাও হয়ে গ্রাম ও খামারে পরিণত হচ্ছে। আরেকটিতে উঠে এসেছে অ্যামাজন বন উজার হওয়ার মূল কারণ। তৃতীয় এক ভিডিওতে আবার গলতে দেখা গেছে হিমবাহ।
বিজ্ঞানীরা সতর্কবার্তা জানিয়েছেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের বৈশ্বিক নিঃসরণ বাড়তে থাকলে প্রচণ্ড আবহওয়ার মুখোমুখি হতে হবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়বে।