ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর জানুয়ারিতে ফেইসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা হয় ডনাল্ড ট্রাম্পকে।
বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে জনসাধারণের প্রায় নয় হাজার প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনাকেই দেরির জন্য বোর্ড দয়ী করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে ২১ এপ্রিলের মধ্যে সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। টুইটারে এক বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছে যে “আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই” একটি সিদ্ধান্তে আসবে তারা।
গত বছর ফেইসবুক ওভারসাইট বোর্ড কাজ শুরু করার পর থেকে এইটিই এই বোর্ডের হাতে এ যাবতকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।
ফেসবুকের মডারেশন বিষয়ে জটিল বা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করার লক্ষ্যেই এই বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ২০ সদস্যের এই বোর্ড গঠন করে দেওয়ার পর থেকে এটি “ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট” হিসাবে পরিচিত।
এই কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করলেও এর মজুরি এবং অন্যান্য খরচ ফেইসবুকই দিয়ে থাকে। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবি এবং শিক্ষাবিদ।
বিশেষ এই বোর্ড এর মধ্যে নয়টি বিষয়ে রায় দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
মিয়ানমারের একজন ব্যবহারকারীর একটি কমেন্ট মুছে ফেলা হয়েছিল এই বিবেচনায় যে, ওই কমেন্ট ছিল মুসলিমদের জন্য অসম্মানসূচক। ‘হেইট স্পিচ’ বিষয়ে নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ থাকলেও পরে দেখা যায় যে সেটি ইসলামবিদ্বেষী ছিল না।
জোসেফ গোয়েবলসের একটি কথিত পুরোনো উক্তি যেটি এক মার্কিন ব্যবহারকারী পুনরায় শেয়ার করেছিলেন। বিপজ্জনক ব্যক্তি সম্পর্কিত নিয়মের আওতায় এটি প্রথমে মুছে ফেলা হলেও পরে দেখা যায় ওই পোস্ট নাৎসি সমর্থক কোনো বিষয় নয়।
একটি ভিডিও যেটি আপাতদৃষ্টিতে কোভিড -১৯ “নিরাময়” বিষয়ক বলে মনে হওয়ায় মুছে ফেলা হয়েছিল। আদতে, এটি ছিল ফরাসী সরকারের স্বাস্থ্য নীতি সম্পর্কে একটি মন্তব্য এবং যেটি কাউকে নিজেই কোভিড চিকিৎসায় উৎসাহিত করে না।
‘প্রাপ্তবয়স্ক-নগ্নতা’র নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য ফেসবুকের অটোমেটেড মডারেশন সিস্টেম আটটি ছবির একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সরিয়ে দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল স্তন-ক্যান্সারের লক্ষণ বিষয়ক একটি সচেতনতামূলক পোস্ট।