এতে ওই দম্পতির পাঁচ বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ।
রাণীশংকৈল থানার ওসি জাহিদ ইকবাল জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রানীশংকৈল
উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর উমরাডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসরাত জাহান (৫) পদমপুর উমরাডাঙ্গী গ্রামের ইয়াসীন আলীর মেয়ে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে একটি ‘চিরকুট’ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি জাহিদ ইকবাল বলেন, “চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘আমরা আর এই পৃথিবীতে বেঁচে
থাকতে চাই না, এই পৃথিবী আর ভালো লাগে না। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। গরু বেঁচে
৫ হাজার টাকা শ্বশুরকে দিয়ে দিও।’
“প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চিরকুটের লেখা সুমি আক্তারের। তারপরও আমরা
বিষয়টি আরও তদন্ত করছি।”
পরিবারের বরাতে ওসি জানান, বিয়ের পর থেকে ইয়াসীন আলীর স্ত্রী সুমি আক্তারের
সাথে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পারিবারিক কলহ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে সুমির সাথে তার
শাশুড়ির ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রাতে শাশুড়ি তার ছেলে ইয়াসীকে বিচার দেয়।
“এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা
করার জন্য ইয়াসীন এবং তার স্ত্রী সুমি বিষপান করেন এবং তারা তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে
ইসরাতকেও বিষপান করায়।”
পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাদেরকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনিত হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাদেরকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ওসি জাহিদ ইকবাল বলেন, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
ইসরাত জাহানের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে ইয়াসীন ও সুমিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইসরাতের
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে
জানান ওসি জাহিদ।
রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন,
নিজেদের শেষ করে দেওয়ার জন্য এভাবে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান বিষপান করা ঠিক কাজ নয়।