ক্যাটাগরি

নিজের চোখে যেমন কোচ জিদান

কার্লো আনচেলত্তির সহকারী হিসেবে কিছু দিন কাজ করার পর ২০১৬ সালে রিয়ালের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন জিদান। প্রথম কোচ হিসেবে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে গড়েন ইতিহাস। দুটি লা লিগা, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছেন মোট ১১টি শিরোপা।

বছরের শুরুতে দল যখন ভুগছিল, তখন কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জিদান। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন প্রাপ্য সম্মান। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, গত বছরই তার এই দল জিতেছে লা লিগার শিরোপা।

এরপর হয়েছে অনেক পরিবর্তন। পয়েন্ট তালিকার চূড়ায় থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান ১০ থেকে নামিয়ে এনেছে ১-এ। ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে।

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের ধরণ খুব একটা বদলায়নি। কদিন আগেও যেমন সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝাড়েন জিদান। লিগে রোববার গেতাফের বিপক্ষে জিতলে শীর্ষে উঠবে তার দল। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে, এক প্রশ্নের জবাবে কোচ হিসেবে নিজের মূল্যায়ন করলেন বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই ফুটবলার। 

“আমি কি ভাগ্যবান? হ্যাঁ, অসাধারণ এই ক্লাবটিতে থাকতে পেরে। আমি মনে করি না, কোচ হিসেবে আমি খুব খারাপ। আবার আমি সেরা কোচও নই, এটা নিশ্চিত।”

“সবসময় সবকিছু হয়তো ঠিকঠাক চলবে না, তবে প্যাশন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর এটা ভালোভাবে চলতে পারে অথবা খারাপভাবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিদিন শতভাগ উজাড় করে দেওয়া, আমি তাই করি, বিশেষ করে আমার খেলোয়াড়রা এটা করে।”

ফুটবল নিয়ে সারা দিন কথা বলে যেতে আপত্তি নেই জিদানের। তবে ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের এই নায়ক ফুটবলের চেয়ে অন্য সব ব্যাপারে স্প্যানিশ গণমাধ্যমের আগ্রহ বেশি দেখছেন।

“অনেক কথা হতে পারে, কিন্তু কোনো কিছু পাল্টাবে না। গণমাধ্যমের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে আরও বেশি কথা বলতে পারলে আমার ভালো লাগবে। কিন্তু মনে হচ্ছে আগ্রহের জায়গা অন্য কিছুতে।”

লিভারপুল ও বার্সেলোনার বিপক্ষে কঠিন তিনটি ম্যাচ খেলে এসেছে রিয়াল। খেলোয়াড়রা আছেন শারীরিক শক্তির শেষ সীমায়। এবার খেলতে হবে ‘রাফ এন্ড টাফ’ ফুটবল খেলা গেতাফের বিপক্ষে। জিদান ভালো করে জানেন, ৩ পয়েন্ট পেতে কতটা শরীর নির্ভর ফুটবল তাদের অপেক্ষায় আছে। 

“আমরা পরিস্থিতিটা বুঝি। আমি মনে করি, খেলোয়াড়রা তৈরি আছে। তিন পয়েন্টের খেলা এবং আমরা সেটা নেওয়ার চেষ্টা করব।”