শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারা দিনে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ৫টি দেশের ১৪টি বিশেষ ফ্লাইটের স্লট নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নানা কারনে সাতটি ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে।
“এর মধ্যে বিমানের আসা-যাওয়াসহ পাঁচটি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজেট এয়ারলাইন্স ফ্লাই দুবাইয়ের দু্টি ফ্লাইট রয়েছে। সকাল থেকে শুধু সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট যাত্রীদের নিয়ে মাস্কাট রওনা হয়েছে। সন্ধ্যায় বিমানের একটি ফ্লাইট জেদ্দা যাওয়ার কথা রয়েছে।”
কোন ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, “সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে রিয়াদগামী ফ্লাইটের ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে দেরি হওয়ায় সেটি বাতিল করা হয়। এছাড়া যাত্রী স্বল্পতার কারণে দুপুরে নির্ধারিত দুবাইগামী দুটি ও দাম্মামগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।”
বাতিল হওয়া পঞ্চম ফ্লাইটের বিষয়ে তাহেরা খন্দকার কিছু জানাতে না পারলেও বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান জানিয়েছেন, সকালে বিমানের যে ফ্লাইটি সকালে রিয়াদ যাওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যায় সেটার ফিরতি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টা আগে রিয়াদগামী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে দাবি করে সেটির যাত্রীরা ভোররাতে বিমানবন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ দেখান।
বিমান কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেন, “অনেক যাত্রী ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট কেনেন। বিমানের কাছে ট্রাভেল এজেন্টদের মোবাইল নম্বরই থাকে। বিমানের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্লাইট বাতিলের তথ্য জানানো হয়। এক্ষেত্রেও সেটা করা হয়ে থাকতে পারে।
“ওই ফ্লাইটের ২০১ জন যাত্রীকে আমরা হোটেলে রেখেছি। পরের ফ্লাইটে তাদের পাঠানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া অন্য দুই গন্তব্যের তিনটি ফ্লাইট বাতিলের তথ্য যাত্রীদের আগেই জানানো হয়েছে।”
লকডাউনে আটকেপড়া প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে পাঁচ দেশের আট গন্তব্যে শনিবার সকাল থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথা বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এই পাঁচ দেশের আট গন্তব্য হলো- সৌদি আরবের রিয়াদ, দাম্মাম ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবি, ওমানের রাজধানী মাস্কাট, কাতারের রাজধানী দোহা ও সিঙ্গাপুর।