২০১৮ সালের মে মাসে ক্রিকেট বিশ্বকে
চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ডি ভিলিয়ার্স। পরে অবশ্য ফেরার ইচ্ছার
কথা এসেছিল তার পক্ষ থেকেই। ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে দিয়েছিলেন প্রস্তাব। কিন্তু
তা ফিরিয়ে দেয় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিশ্বকাপের পর কোচ হয়ে এই তারকার সঙ্গে
ফেরা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন বাউচার। ডি ভিলিয়ার্সও সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা
দলে ফিরতে পারলে তার দারুণ লাগবে।
গত বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার প্রবল সম্ভাবনাও জেগেছিল। কিন্তু সব কিছু থমকে যায় করোনাভাইরাসের
হানায়। অস্ট্রেলিয়ার সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়া হয় দুই বছর। তবে আগামী
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আছে আরেকটি আসর।
ডি ভিলিয়ার্সও চেয়েছেন বিশ্বকাপের আগে
আইপিএলে নিজের অবস্থা যাচাই করতে। ভারতের এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টের গত আসরেও ছিলেন দারুণ
ফর্মে।
মাঝে ক্রিকেট না খেললেও পারফরম্যান্সে পড়েনি ভাটার টান। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ৪৮ রানের ইনিংস। রোববার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৩৪ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। খেলা শেষে তাই তাকে মুখোমুখি হতে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে প্রশ্নের। ৩৭ বছর বয়সী ডি ভিলিয়ার্স জানালেন, বাউচারের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
“আইপিএলের মাঝে কোনো এক সময় আমরা কথা বলার পথে আছি। তবে
হ্যাঁ, এই বিষয়ে এরই মধ্যে আমাদের কথা হয়েছে। গত বছর, তিনি (বাউচার) আমাকে জিজ্ঞাস
করেছিলেন, আমি আগ্রহী কিনা। আমি বলেছিলাম, অবশ্যই। আইপিএল শেষে দেখতে হবে, ফর্ম ও ফিটনেসে
আমি কোথায় আছি।”
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও
একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে ডি ভিলিয়ার্সের মধ্যে। তবে সুযোগ না পেলেও আফসোস নেই তার।
“দলের পরিস্থিতির একটা ব্যাপারও আছে। বিগত সময় ধরে যারা
পারফর্ম করে আসছে, তাদেরকেও কোচের দেখতে হবে। যদি দলে আমার জন্য জায়গা না থাকে, সমস্যা
নেই। আর যদি সুযোগ পাই, সব কিছু যদি ঠিক আছে, তাহলে এটা হবে দারুণ ব্যাপার। আইপিএল
শেষে বাউচির (বাউচার) সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি। তখন আমরা সে অনুযায়ী পরিকল্পনা
করব।”