আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে রোববারের
ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। জশ মাজা সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর যোগ করা সময়ে সমতা টানেন এডি
এনকেটিয়া।
গত সেপ্টেম্বরে ফুলহ্যামের মাঠে ৩-০
গোলে জিতেই আসরে পথচলা শুরু করেছিল আর্সেনাল।
আর্সেনাল ফরোয়ার্ড এডি এনকেটিয়ার শট জালে জড়িয়ে যাওয়া চেয়ে দেখছেন ফুলহ্যাম গোলরক্ষক।
গত বৃহস্পতিবার স্লাভিয়া প্রাহাকে ৪-০
গোলে উড়িয়ে (দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১) ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠা আর্সেনাল লিগে আগের
রাউন্ডে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে।
ফুলহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই
এগিয়ে যেতে পারত আর্সেনাল। কিন্তু আলেকসঁদ লাকাজেতের চিপ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও অল্পের
জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিক পর কাছ থেকে নেওয়া গাব্রিয়েল মার্তিনেলির শট বামে ঝাঁপিয়ে
ঠেকান সফরকারী গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা।
২১তম মিনিটে মাজার শট ডিফেন্ডার রব
হোল্ডিংয়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্ট ঘেঁসে বেরিয়ে গেলে রক্ষা পায় আর্সেনাল। বিরতির
আগে দুইবার জালে বল পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি দলটি।
৫৪তম মিনিটে বুকায়ো সাকার শট পোস্টে
বাধা পায়। চার মিনিট পর ডি-বক্সে মিডফিল্ডার মারিও লেমিনা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি
পায় ফুলহ্যাম। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাজা।
আর্সেনালকে হতাশায় ডুবিয়ে ফুলহ্যামের গোল উদযাপন।
শেষ দিকে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্সেনাল। নিজের
পোস্ট ছেড়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে চলে আসেন গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ান। কর্নার থেকে উড়ে
আসা বল জটলার মধ্যে লাফিয়ে হেডে বাড়ান ডান দিকে। সেখান থেকে দানি সেবাইয়োসের শট আরিওলা
ঝাঁপিয়ে রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়ে টোকায় সমতা টানেন
এনকেটিয়া।
৩২ ম্যাচে আর্সেনালের এটি সপ্তম ড্র,
সঙ্গে ১৩ জয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার ৯ নম্বরে। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৭ পয়েন্ট
নিয়ে ১৮ নম্বরে ফুলহ্যাম।