রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মধ্যম আয়ের, যাদের অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী যানবাহন পাচ্ছেন না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে অত্যাধুনিক ও নিরাপদ ব্যক্তিগত যানবাহনের চাহিদা বেড়েছে।
“মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সামর্থ্য বাড়ায় অটোমোবাইল নির্মাতারা স্থানীয়ভাবে শিল্প স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এজন্য বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং এ শিল্পের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য আমরা খুব দ্রুত অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা চূড়ান্ত করতে চাচ্ছি।”
নুরুল মজিদ বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতে অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, যাতে করে সহনীয় মূল্যে যানবাহন তৈরি করা যায়।
“এজন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগ করতে দেশে ও দেশের বাইরের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ এখানে অনেক ডিমান্ড রয়েছে।”
শ্ল্পিমন্ত্রী বলেন, “এখন সবকিছু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এখানে উৎপাদন হলে, প্রতিযোগিতামূলক বাজার হলে, যাতে ইন্ড্রাস্টি ডেভেলপ করে সেটিকে আমরা প্রমোটে কাজ করছি। তাহলে এটি রেভিনিউ অর্জনের বড় উৎস হবে। আমরা চাই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ুক, দেশের বাইরেও অটোমোবাইলের রপ্তানি বাড়ুক।
“দেশের উন্নয়নে শিল্পায়নের প্রয়োজন। আর শিল্পের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। সেজন্য সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন মন্ত্রী।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সভাপতিত্ব ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নিওকি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ইউনিটের প্রধান জন ডি. ডানহাম, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হায়াকাহ ইউকো।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ।