প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে শনিবার আথলেতিক বিলবাওকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে কুমানের দল। জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি, একটি করে অঁতোয়ান গ্রিজমান ও ফ্রেংকি ডি ইয়ং।
শিরোপাশূন্য মৌসুমের পর ক্লাবে পরিবর্তনের ঝড়, মেসির দল ছাড়তে চাওয়া, সেই সময়ের সভাপতির পদত্যাগ, করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক দুর্গতি-সব মিলিয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বার্সেলোনাকে।
মৌসুমের শুরুটাও তাদের ছিল যাচ্ছেতাই। নতুন কোচ হয়ে আসা কুমান দলকে গুছিয়ে নেন একটু একটু করে। লিগে এক সময়ের ছন্দহীনতা কাটিয়ে দল ফেরে শিরোপা লড়াইয়ে।
কোপা দেল রের পথটাও সহজ ছিল না। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে ওঠে কাম্প নউয়ের দলটি। আগের রাউন্ডগুলোতে তুলনামূলক দূর্বল দলের বিপক্ষে জিততে হয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে।
সব মিলিয়েই অবশেষে শিরোপার স্বাদ পেয়ে খুব ভালো লাগছে কুমানের। ম্যাচ শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় ছিল স্বস্তির আভাসও।
“অনুভূতিটা অসাধারণ। সেই সব অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচগুলো পেরিয়ে ফাইনালে ওঠাটাই ছিল কঠিন। আমরা খুব খুশি এবং এই মৌসুমে অন্তত একটি শিরোপা আমাদের প্রাপ্য ছিল। ক্লাব এটির যোগ্য।”
কোপা দেল রে শিরোপা হাতে বার্সেলোনা ফুটবলারদের উল্লাস।
মূলত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে গত বছর লুইস সুয়ারেস, ইভান রাকিতিচ, আর্তুরো ভিদালদের মতো অভিজ্ঞদের ছেড়ে দিতে হয় বার্সেলোনাকে। পালাবদলের প্রক্রিয়ায় তাই দায়িত্ব নিয়ে তারুণ্যনির্ভর দল গড়ার দিকে মনোযোগ দেন কুমান। আপাতত তাকে বেশ সফলও বলা যায়।
আনসু ফাতি নিজেকে পরিণত করেছেন আরও। উঠে এসেছে পেদ্রির মতো মিডফিল্ডার। অস্কার মিনগেসা, রিকি পুস, ইলাইশ মোরিবারা দিচ্ছেন ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আভাস।
পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দলটিতে শিরোপার ছোঁয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন কুমান।
“পুনর্গঠনের বছরে ক্লাবের জন্য শিরোপাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু একটা জয়ের বিশ্বাস দলটির সবসময়ই ছিল। সকল বার্সেলোনা সমর্থকদের জন্য এটা আনন্দের দিন। সাফল্যটা প্রাপ্য।”
এই শিরোপা আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে কুমানকে। এবার লা লিগার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান তিনি।
“আমরা ক্ষুধার্ত ছিলাম। এখন আমাদের ঝুলিতে একটি ট্রফি আছে এবং দ্বিতীয়টির জন্য আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। লা লিগার জন্য আমরা শেষ দিন পর্যন্ত লড়ব।”
শিরোপা খরা কাটানোর পর স্বাভাবিকভাবেই ওঠে মেসির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গ। তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না কুমান।
“জানি না, সামনে কী ঘটবে। আশা করি, এটা তার শেষ ফাইনাল না। সবাই চায়, সে এখানেই থাকুক।”