স্থানীয় দুই
ব্যবসায়ীর অভিযোগের পর শনিবার রাতে এই নেতাকে নিজ বাড়ি উপজেলার খেমিরদিয়া গ্রাম থেকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ভেড়ামারা থানার এসআই প্রকাশ রায়।
গ্রেপ্তার শরিফুজ্জামান
সুমন (৩৫) খেমিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বারীর ছেলে ও মোকারিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের
সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটিরও সদস্য।
এসআই প্রকাশ রায়
জানান, গত শুক্রবার দুজন ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে রেকর্ডভুক্ত
করে পুলিশ। এই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই মামলায় অন্য আসামিরা
হলেন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জনি হোসেন (২৮) ও হাবাসপুর গ্রামের
নাসিমের স্ত্রী তুলি খাতুন (২৫)।
এসআই প্রকাশ বলেন,
ভেড়ামারায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যবসায়ী বা চাকরিজীবীদের
টার্গেট করে তরুণীদের লেলিয়ে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে আটকে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
“বিভিন্ন ভুক্তভোগী
লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন মুখ খোলেননি। তবে মৌখিকভাবে পুলিশকে বেশ কয়েকজন অবগত করেছেন।”
প্রকাশ বলেন,
বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ সম্প্রতি দুই ব্যক্তির সন্ধান পান, যারা এই ধরনের
ফাঁদে পড়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন।
“এই ব্যবসায়ী
দুজনের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে পুলিশ শরিফুজ্জামান সুমনকে গ্রেপ্তার
করেছে।”
ভেড়ামারা থানার ওসি
মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, প্রতারণার জালে আটকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের
অভিযোগে করা মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। এই মামলার এজাহার
নামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগ
সভাপতি আকরাম হোসেন শামীম বলেন, গ্রেপ্তার মোকারিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম
আহ্বায়ক এবং বর্তমান উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে
কেউ আইন বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তার দায়ভার সংগঠন নেবে না।