গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে রেকর্ড সাড়ে ২৫ হাজার করোনাভাইরাস আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
দুই কোটির বেশি মানুষের নগরী দিল্লিতে রোববার আইসিইউ বেডের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমে এসেছে বলে জানান কেজরিওয়াল। হাসপাতালে বেড না পাওয়া, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ওষুধ না থাকা নিয়ে অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভেসে যাচ্ছে।
রোববার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, গত ২৪ ঘণ্টায় ‘পজিটিভ’ হওয়ার হার ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ হয়ে গেছে। সংক্রমণ খুব দ্রুত বাড়ছে। হাসপাতালগুলো দ্রুত রোগীতে ভর্তি হচ্ছে যাচ্ছে।”
আলাদা একটি বিবৃতিতে দিল্লির গভর্নর বলেন, ‘হাসপাতাল শয্যা এবং অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে’ সেটা তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এখন স্কুলগুলোকে অস্থায়ী হাসপাতাল বানানো হচ্ছে।
গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেশ কমে এসেছিল। ওই সময় দৈনিক শনাক্ত ২০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু মার্চে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। এখন সংক্রমণ লাগামহীন হয়ে গেছে।
রোববার সেখানে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এদিন একদিনে রেকর্ড ১,৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু এক লাখ ৭৭ হাজার ১৫০ জন।
ভারতের যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে রাজধানী দিল্লি তার একটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে এরই মধ্যে ‘উইকেন্ড কারফিউ’ জারি করা হয়েছে।
দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু যত বাড়ছে মোদী প্রশাসনের উপর চাপও তত বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাতের এ চরম সংকট মোদী প্রশাসন যেভাবে অবহেলা করছে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভারতে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখনও নানা ধর্মীয় উৎসব আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ মানুষ ভিড় করছেন।
অন্যদিকে চলছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। যেখানে খোদ মোদী এবং তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেরাই বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করছেন। যেসব সমাবেশে ন্যূনতম স্বাস্থ বিধি মানা হচ্ছে না।