দৈনন্দিন জীবনের নানান ঝামেলার ভীড়ে সঙ্গীর
মানসিক অবস্থার দিকে নজর দেওয়ার গুরুত্ব হারিয়ে যেতে পারে। আবার সঙ্গীকে প্রতিদিন স্বাভাবিক
গতিতে সংসার সামলাতে দেখে হয়ত ভাবতে পারেন সবই তো ঠিক আছে।
তবে সবকিছুর আড়ালে সঙ্গী হয়ত এই সংসার
জীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্ত কিংবা অসুখী।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো সঙ্গীর অসুখী অবস্থা আঁচ করার উপায়।
নেতিবাচক সুর:
হতাশা থেকেই মানুষের মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার উৎপত্তি হয়। সেটা ধারণা করা যেতে পারে
সঙ্গীর কথা বলার ভঙ্গিতে। সংসার জীবন নিয়ে কিংবা যেকোনো প্রসঙ্গে তার কথার সুর যদি
নেতিবাচক হয়, আশাবাদি কোনো কথাই যদি তার মুখে শুনতে না পান তবে বিষয়টাতে গভীর মনযোগ
দেওয়া উচিত।
জীবনসঙ্গী নয়, যেন ঘর সঙ্গী: একই ছাদের নিচে থেকেও যদি সঙ্গীর সঙ্গে আলাপচারিতা, খুনসুটি,
ঝগড়া ইত্যাদি কিছু না হয় তবে বোঝা উচিত কোথাও একটা গোলমাল থেকে যাচ্ছে। একসঙ্গে থাকার
পরও দুজনার মধ্যে দূরত্ব সৃস্টি হয় এভাবেই।
তৃতীর কারও সঙ্গে আদুরে আলাপ: সঙ্গী আপনাকের বাদ দিয়ে যদি অন্য কারও সঙ্গে ‘ফ্লার্ট’ কিংবা
আদুরে আলাপ করে তবে শুরুতেই তার চরিত্রের দিকে প্রশ্ন তোলা ঠিক হবে না। এমনও হতে পারে
আপনার কাছ থেকে পর্যাপ্ত ঘনিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণেও অন্য কারও দ্বারস্থ হচ্ছে।
খোটা দিয়ে কথা বলা: পরোক্ষ তিরষ্কারের একটি মাধ্যম এই খোটা দেওয়া। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভাবতে হবে
সঙ্গী কী বরাবরই এমন ছিল নাকি ইদানিং এই অভ্যাস দেখা দিয়েছে। অভ্যাসটা যদি নতুন হয়,
তবে বুঝে নিতে হবে সে আপনার প্রতি রাগান্বিত কিন্তু মুখে প্রকাশ করতে চায় না।
ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করাও যদি কমে যায়
তবে বুঝতে হবে সম্পর্ক বড় ধরনের ফাটল ধরেছে।
আগের মতো নেই:
মানুষটা সেই আগেরজনই কিন্তু তার আচার আচরণ যেন বদলে গেছে। আগের সেই প্রফুল্লতা নেই,
একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ইচ্ছে বা আবদারগুলো নেই। কোনো সমস্যা আপনি মনে করতে পারছেন না,
তবে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকও মনে হচ্ছে না। আপনার এমন অনুভূতি জন্ম নেওয়া সবসময় ভিত্তিহীন
নয়। এগুলোও হতে পারে গভীর কোনো হতাশার উপসর্গ।
যেকোনো সম্পর্কে দুজনার মধ্যে সহজাত আলাপচারিতা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঙ্গীকে যদি সম্পর্কের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যেতে
দেখেন তবে বুঝতে হবে সম্পর্কে হতাশা এসেছে।
দূরে থাকলে ভালো থাকে: অন্যদের সঙ্গে হাসিখুশি থাকা মানুষটা আপনার সামনে এলেই যদি মনমরা
হয়ে যায় তবে ধরে নেওয়া যেতেই পারে, আপনিই তার মন খারাপের কারণ। আরেকটি দিক হল আপনার
মূল্যায়ন তার কাছে কমে যাবে। আপনার কোনো কাজে প্রসংশা করা কিংবা আপনার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে
যেন তার কোনো কিছু যায় আসে না।
ঘনিষ্ঠতা এড়ানো: দুজন মিলে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, দেখা করা, খেতে যাওয়া, গল্প করা এসব ব্যাপারে
যদি সঙ্গীর অনিহা চোখ পড়ে তবে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার সময় হয়েছে। হঠাৎ করেই তারা
যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারে। মেসেজ না দেখা, কল না ধরা এসব ঘটনা নিয়মিত হতে থাকে।
আবার এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে তাদের কোনো শক্ত কারণ থাকে না, এমনটি বিশ্বাসযোগ্য কোনো
মিথ্যা দাঁড় করানো চেষ্টাও তাদের থাকে না।
পুরানো ঝগড়ার রেশ কাটে না: একই ঘটনা নিয়ে যদি সঙ্গী দিনের পর দিন মুখ গোমড়া করে রাখে, আপনি
মীমাংসা করতে চাইলেও সে আপোষ না করে তবে বুঝতে হবে তার সমাধানে আগ্রহ নেই। বরং সে বেরোনো
পথ খুঁজছে।
আরও পড়ুন
কীভাবে বুঝবেন সম্পর্ক শেষ করতে হবে?