রোববার সকালে থেকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের কৃষক
দুলাল মিয়ার দেড় বিঘা ক্ষেতের ধান কাটেন এই ছাত্ররা।
ক্ষেত মজুরের সংকটে দুলাল মিয়া তার ধান কাটাতে পারছেন না খবর পেয়ে ছাত্রলীগের
সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম সেখানে যান।
তার নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ২৫ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী এ ধান
কাটায় অংশ নেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে দুলাল মিয়া
জানান, লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। এছাড়া এলাকার শ্রমিকদের
মজুরি খুব বেশি।
“ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম।
এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা সুলতান সিরাজ ভাই আরও নেতা-কর্মী সাথে নিয়ে
এসে কোনো টাকা-পয়সা ছাড়াই দেড় বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন।
“ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছে তা কখনও
ভুলব না।”
ছাত্রলীগ নেতা সুলতান বলেন, প্রতিবার ধান কাটার মৌসুমেই ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ
বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা শ্রীপুরে ধান কাটাতে আসে।
“করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে
পারেননি। এদিকে কৃষক দুলাল মিয়া দেড় বিঘা জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে
পড়েন। কৃষক দুলাল অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের জেলা ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে
নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি।”
এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা
বলেন তিনি।