রোববার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) উচ্চ-তাপমাত্রা
বা হিট-শক সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের গবেষণার অগ্রগতি দেখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো.
আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে হিট-শকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য সরকার
ইতোমধ্যে ৪২ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ এবং সহায়তা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
করেছে।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে কৃষকদের এমন বিপর্যয় থেকে রক্ষায় হিট-শক সহনশীল উচ্চ-ফলনশীল
ধানের জাত উদ্ভাবনেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
উচ্চ তাপমাত্রাজনিত বিপর্যয় মোকাবেলায় বিজ্ঞানীদের গবেষণার বাস্তব ধারণা
নিতে ব্রি’র গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ব্রি’র গবেষণা মাঠে
উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধানের গবেষণা প্লটসহ বিভিন্ন জাতের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় ব্রি’র মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর তাকে বিভিন্ন গবেষণা সম্পর্কে
ধারণা দেন।
ড. শাহজাহান বলেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বুঝতে পেরে
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনের গবেষণা
শুরু করে ২০১৩ সালে।
তিনি জানান, উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু একটি জাতের বর্তমানে আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষার
পর্যায়ে রয়েছে।
“ফলন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গ্রহণযোগ্য হলে এটিকে জাত হিসেবে অনুমোদনের
জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডে আবেদন করা হবে।”
তাদের গবেষণা সফল হলে তাপমাত্রার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেও এ জাতের
ধানের ফুল ফোটায় এবং ফলনে সমস্যা হবে না।