সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
রেকর্ড হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়, পটুয়াখালী
অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে
যাচ্ছে, যা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকবে।
সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের
তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৯
ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাশাহীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,
খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মংলায় ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি
সেলসিয়াস, টাঙ্গাইলে ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি
৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা
বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা
৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।
২০১৮ সালে গরমের মৌসুমে ১৫ জুন
রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল।
আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রা বাড়ার
প্রবণতা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়। টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ ময়মনসিং,
সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি
হতে পারে।
তপ্ত বৈশাখে গেল শনিবার রজধানীসহ
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপট ছিল।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন,
বৃষ্টিপাত কম থাকায় গরমের অনুভূতি বাড়বে। ১৮-১৯ এপ্রিলের দিকে কোথাও কোথাও ঝড়ো
হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঢাকায় ১৯৯৫ সালে তাপমাত্রা ওঠেছিল
৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৬০ সালে ৪২.৩ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।