‘এনজয়েন’ এর মানে কোনো পদক্ষেপের সমর্থন বা তা নিষিদ্ধ – দুটোই হতে পারে। ইংরেজিতে আদালতের দেওয়া এক রায়কে গুগল অনুবাদ সফটওয়্যার ভারতীয় কানাড়া ভাষায় অনুবাদ করেছে, আদালত সহিংসতার নির্দেশ দিয়েছে।
আদতে আদালত ‘এনজয়েন’ শব্দটি ব্যবহার করে সহিংসতা নিষিদ্ধ করেছিল।
সমস্যাটি যে শুধু ‘এনজয়েন’ শব্দটিকে নিয়ে তা নয়। ‘অল ওভার’, ‘ইভেনচুয়াল’ এবং ‘গারনিশ’ এর মতো শব্দগুলোকে ঘিরেও ভুল অনুবাদের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গুগল বলছে, মেশিন অনুবাদ এখনও “পেশাদার অনুবাদের পূরক মাত্র” এবং এটি “সুপরিচালনার মাধ্যমে ভাষার অস্পষ্টতা ও পক্ষপাত কমিয়ে অল্প রিসোর্স সম্পন্ন ভাষায় বড় গুণগত প্রাপ্তি এনে ক্রমাগত উন্নয়নের লক্ষে গবেষণা করছে।”
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় এক প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নতুন এ গবেষণাটি। মূলত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ভাষাকে প্রথমে ইংরেজিতে অনুবাদ করে, তারপর ওই ইংরেজি অনুবাদ থেকে অন্য কোনো ভাষায় রূপান্তর করে। এ প্রক্রিয়াটির নাম ‘ব্যাক ট্রান্সলেশন’।
এ ধরনের প্রক্রিয়া বিপরীত শব্দের মতো ব্যাপারগুলো নিয়ে সমস্যায় পড়ে বলে জানিয়েছেন গবেষণাটির একজন গবেষক এবং শনাক্তকরণ স্টার্টআপ ইউনিফাইআইডি’র প্রধান বিজ্ঞানী ভিনায় প্রাভু।
‘এনজয়েন’ দিয়ে লেখা আদালতের রায়কে গুগল সমর্থিত ১০৯টি ভাষায় অনুবাদ করার পর দেখা গেছে অধিকাংশ ফলাফলই ভুল এসেছে।
অন্যদিকে, ইংরেজিতে ব্যাক ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়ায় অনুবাদ করে দেখা গেছে ৮৮টি অনুবাদ বলছে আদালত সহিংসতার পক্ষে কথা বলছে, অন্যদিকে মাত্র ১০টি ভাষায় সঠিক অনুবাদ এসেছে যে আদালত গোটা বিষয়টি নিষিদ্ধ করেছে।
নতুন গবেষণাটি বলছে, এ ধরনের অনুবাদ সমস্যা আরও বড় মাপে প্রভাব ফেলতে পারে। এখন অনেক ব্যবসায়ই এআই ব্যবহার করে থাকে আইনি ভাষা অনুবাদের জন্য। গবেষকরা সতর্কতার অভাব এবং টুলে কনফিডেন্স স্কোরের মতো বিষয়গুলোও নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।