ক্যাটাগরি

এখন চোট নিয়ে পড়ে থাকার সময় না: কোর্তোয়া

লা লিগায় রোববারের ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে মূল দলের ৯ জন খেলোয়াড়ই ছিল না রিয়ালের। ভঙ্গুর দল নিয়ে নামা শিরোপাধারীদের শুরু থেকেই চেপে ধরে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দলটি। কোনোমতে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে রিয়ালের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ পয়েন্টে। লিগের এখনও বাকি ৭ রাউন্ড। সামনে হতে পারে অনেক কিছুই। লিগ শিরোপার দৌড়ে তাই ভালোভাবেই আছে তারা।

ক্লাবের অফিসিয়াল টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোর্তোয়ার কণ্ঠে হতাশা ফুটে উঠলেও ঘুরে দাঁড়াতে তিনি দারুণ আত্মবিশ্বাসী।

“প্রতিকূলতা শক্তি যোগায়। অনুপস্থিত খেলোয়াড়দের নিয়ে কান্নাকাটির সময় এখন না। আমাদের মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে। রিয়াল মাদ্রিদে যেসব খেলোয়াড় আছে তারা সবাই-ই তাদের যোগ্যতায় আছে।”

“পয়েন্ট হারানোয় আমরা কিছুটা হতাশ। তবে (ঠাসা সূচিতে) অনেক ম্যাচ খেলা হলে ছন্দ ধরে রাখা সহজ নয়।”

নিষেধাজ্ঞায় গেতাফের বিপক্ষে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার নাচো ফের্নান্দেস ও মিডফিল্ডার কাসেমিরো। বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে আগের দিন ছিটকে যান ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদি। আর কোভিড-১৯ পজিটিভ একজনের সংস্পর্শে আসায় ম্যাচের দিন ফেদে ভালভেরদেকে হারায় রিয়াল।

চোটের আঘাতে আগে থেকেই দলের বাইরে তারকা ফরোয়ার্ড এদেন আজার, ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস, দানি কারভাহাল ও ফরোয়ার্ড লুকাস ভাসকেস। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। রামোসের শরীরেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সব মিলিয়ে জিদানকে হিমশিম খেতে হচ্ছে দল সাজাতে। গেতাফে ম্যাচে বাধ্য হয়ে তরুণ আন্তোনিও ব্লাঙ্কো ও সের্হিও আরিবাসকে নামাতে হয়, যারা আগের দিন রিয়ালের রিজার্ভ দলের হয়ে ৯০ মিনিট খেলেছিলেন।

৩১ ম্যাচে ২০ জয় ও সাত ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে ‍তৃতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা।