উপজেলার ডাইনকিনি এলাকার বাড়ি থেকে রোববার রাত ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর-শ্রীপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল মামুন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমির ও উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি এমদাদুল হক (৪২), তার দুই ভাই মোহাম্মদ আলী (৪৮) ও আশরাফ হোসাইন (৪০)।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, “হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার রাতে চন্দ্রা-কালামপুর রোডে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় পুলিশও গুলি ছোড়ে। পরে তাদের ধাওয়া করে বিভিন্ন বাড়ি-ঘর থেকে কিছু লিফলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কালিয়াকৈর থানার এসআই মো. মোরশেদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, এমদাদুল হক কালিয়াকৈর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমির ও উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি। তাছাড়াও তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা দারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তার ছোট ভাই আশরাফ হোসাইন একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং বড় ভাই মোহাম্মদ আলী মুদি দোকানি।
রোববার রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে বলে নাসির উদ্দিনের ভাষ্য।