সোমবার প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু খোলা চিঠিটি
জমা দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন
ও জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চিঠির একটি অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে সরকারের জরুরি
কর্তব্য বলে যা বলেছেন জাফরুল্লাহ-
# অক্সিজেন, ওষুধ,
মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে বিশেষ এসআরও’র এর মাধ্যমে সকল প্রকার শুল্ক, অগ্রিম
আয়কর, মূসক প্রভৃতি প্রত্যাহার করা।
# আইসিইউ পরিচালনার
জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করা। ২০০ জন
চিকিৎসক ও ৫০০ জন নার্স টেকনিশিয়ানকে আইসিইউতে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান (হাই ফ্লো ন্যাজাল
ক্যানুলা), নন-ইনভেসিব শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া, শ্বাসতন্ত্রে টিউব মারফত অক্সিজেন
সরবরাহ, অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া এবং শ্বাসনালী
ট্যাকিয়া ছিদ্র করে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এক মাসের প্রশিক্ষন ব্যবস্থা
করা।
# সকল ওষুধের মূল্য
এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতি সমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারন করে দেয়া।
# কারাগারে আবদ্ধ সকল
ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেবার ব্যবস্থা নেয়া এবং খুনের দায়ে এবং দুর্নীতির কারণে দণ্ডিত
অভিযুক্ত ছাড়া অন্য সকলকে জামিনে মুক্তি দেয়া।
# সরকারি ও বেসরকারি
মেডিকেল কলেজ সমূহে প্রতিবছর ২০ হাজার ছাত্র ভর্তি করা এবং এমবিবিএস পাশের পর ইউনিয়ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানকেন্দ্র এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ করা। অতীতে এই নিয়ম
চালু করে দুই সপ্তাহ পর প্রত্যাহার করে ভুল করেছিলেন।
# আগামী বাজেটে সকল
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী সংস্কার, গভীর নলকুপ ও বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল,
নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ডরমিটরি, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং
রুম এবং পাঁচ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ান প্রধানদের জন্য
৬০০-৭০০ বর্গফুটের বাসস্থান, বহি:বিভাগ সহ ৩০ শয্যার হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও অপারেশন
থিয়েটার নির্মানের জন্য ছয় কোটি টাকা এবং অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে আলট্রাসনোলজি,
চক্ষু ও বিভিন্ন ল্যাবরেটরি যন্ত্রপাতির জন্য অন্যূন চার কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা
নিন। এরূপ উন্নয়নে ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ জনগনের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠিত হবে।
# লকডাউন কার্যকর করার
জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারদের সরাসরি আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিনামূল্যে মাসিক
রেশনে চাল, ডাল, আটা, আলু, তেল, চিনি, পিয়াজ, রসুন প্রভৃতি দিতে হবে। রেশন বিতরনের
জন্য সামরিক বাহিনী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এনজিও কর্মীদের ব্যবহার
সুফল দেবে।
# ট্রিপসের বাধ্যতামুলক
লাইসেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা সৃষ্টির জন্য নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে আপনার বিশেষ দূত করে ইউরোপে পাঠান।
# ভ্যাকসিন উৎপাদনের
জন্য দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করুন, সুফল পাবেন।
# গত বছর দ্রুত সিনোজাকের
ট্রায়াল অনুমোদন না দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
# গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত
এন্টিবডি এন্টিজেন অনুমোদন এক বছরে হয়নি। ড. বিজন কুমার শীলের ভিসা না হওয়ায় বাংলাদেশে
ফিরতে পারছেন না। ছয় মাস আগে চার বিজ্ঞানীর তত্ত্বাবধানে রিয়েলটাইম পিসিআর ল্যাবরেটরি
স্থাপিত হলেও ব্যবহার শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অদ্যাপি অনুমতি দেয়নি।
চিঠিত জাফরুল্লাহ চৌধুরী
লেখেন, “ক্ষতি হচ্ছে দেশের, বিষয়টি আপনাকে পুনরায় অবগত করলাম। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনে
জাতির কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা সমধিক। আপনার সুস্বাস্থ্য ও নববর্ষের শুভ
কামনায়।”