ইলিয়াস হোসেন নামের
এক ব্যক্তি পল্টন থানায় এ মামলা করেছেন বলে সোমবার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “রোববার
রাতে মামলাটি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা
হয়েছে।”
নিজেকে সংগীতশিল্পী
এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক দাবি করে ইলিয়াস হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের
বক্তব্যে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। ভবিষ্যতে যাতে তিনি এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ
বক্তব্য দিতে সাহস করতে না পারেন, সেজন্য আমি মামলাটি করেছি।”
মামলায় ইলিয়াস হোসেন
অভিযোগ করেছেন, ১৪ এপ্রিল নুরুল হক নূর তার ফেইসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন।
“ওই ফেসবুক ভিডিও অজ্ঞাতনামা
অসংখ্য ফেইসবুক আইডি ও পেইজে শেয়ার করা হয়েছে, যাতে অসংখ্য সাধারণ ফেইসবুক ব্যবহারকারী
লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করেছেন। যার ভেতর অনেক সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী
কমেন্ট রয়েছে।,” বলা হয়েছে এজাহারে।
গত বুধবার বিকালে ফেইসবুক
লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সুরে নূর
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন।
মামলার পর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন নূর
ওই লাইভে তিনি বলেন,
“কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা এই আওয়ামী লীগ করে তারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ,
মাদক ব্যবসায়ী, চিটার-বাটপার এই ধরনের মুসলমান।”
তার এই বক্তব্যে ‘ধর্মীয়
মূল্যবোধে আঘাত ও উসকানির’ অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় যুবলীগের কেন্দ্রীয়
কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম সজীব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার হওয়ার পর মধ্য
রাতেই নুরুল হক নূর তার আরেকটি ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান
এবং সেদিনের লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার কথা জানান।