বিবিসি জানায়, পৃথিবী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা ‘ইনজেনুয়িনিটি’ নামের এই ড্রোনটি প্রায় এক মিনিট ওড়ানো হয়েছে মঙ্গলের আকাশে।
নাসার রকেট ‘পারসেভেরেন্স রোভারে’ করে ফেব্রুয়ারি মাসে এটি পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে যায়।
ইনজেনুয়িনিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মিমি অং ১৯০৩ সালে পৃথিবীর বুকে রাইট-ভাইদের প্রথম ওড়ানো উড়োযানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এখন বলতে পারব, মানুষ অন্য গ্রহে উড়োযান উড়িয়েছে। অনেকদিন ধরে এই ‘রাইট ব্রাদারজ’ মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আমরা।”
মঙ্গলের মাটিতে ইনজেনুয়িনিটি নিজের ছায়ার ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠালে নাসার নিয়ন্ত্রণকক্ষে সবাই উল্লাসে মেতে ওঠে। মঙ্গলে বাতাসের ঘনত্ব পৃথিবীর চেয়ে ৯৯ শতাংশ কম।
এরকম প্রতিকূল পরিবেশে হেলিকপ্টারটি তিন মিটার উপরে উঠে কিছুটা ওড়ার পর আবার মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে।
মঙ্গলের অভিকর্ষ পৃথিবীর চেয়ে কম হওয়ায় ইনজেনুয়িনিটির ওড়া কিছুটা সহজ হয়, বলছেন বিজ্ঞানীরা।
‘পারসেভেরেন্স’ রকেটটি মঙ্গলে অবতরণের পর ইনজেনুয়িনিটিকে মাটির কাছাকাছি নামিয়ে দিয়ে এর সঙ্গে একটি ‘সেলফি’ তুলে নেয়।
ভবিষ্যতে শনির ৮২টি উপগ্রহের একটি, টাইটানে হেলিকপ্টার ওড়ানোর পরিকল্পনা আছে নাসার। মিশনটি হতে পারে ২০৩০ সালে।