বিবিসি বার্মিজ এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ইয়ুকি কিতাজুমিকে রোববার রাতে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনা সদস্যরা। তাকে দুই হাত ওপরে তুলতে বলা হয় এবং একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই সাংবাদিকের বয়স চল্লিশের কোঠায় বলে জানিয়েছেন জাপান সরকারের এক মুখপাত্র। তবে তিনি সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করেননি।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব কাতসুনোবু কাতো বলেন, “আমরা মিয়ানমারের কাছ থেকে তার দ্রুত মুক্তি চাই এবং আমরা জাপানের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।”
জাপান সরকার সাংবাদিক কিতাজুমির আটকাবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে বলেও জানান কাতো। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলেননি।
কিতাজুমির ফেইসবুক পেজ ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারে ‘ইয়াঙ্গুন মিডিয়া প্রফেশনালস’ নামে একটি মিডিয়া প্রডাকশন কোম্পানি চালান তিনি। সেইসঙ্গে নিক্কেই বিজনেস দৈনিকের একজন সাংবাদিক হিসেবেও কিতাজুমি কাজ করেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের খবর করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইয়ুকি কিতাজুমি। তবে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আন্দোলনকর্মীদের সংগঠন ‘অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’ (এএপিপি) জানায়, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৭৩৭ জন নিহত হয়েছে এবং আটক হয়েছে ৩ হাজার ২২৯ জন।