জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-রিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, “জেলায় এবার বোরো চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত, অতিখরা, ব্লাস্ট রোগ ও আকস্মিক তাপমাত্রা বেড়ে হিট শকে বেশ ক্ষতি হয়েছে।
“ধারণা করা হচ্ছে মেহেরপুরের ১০ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়েছে; যা এক হাজার নয় শত হেক্টরের বেশি। তবে এতে মোট উৎপাদনের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। কারণ লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে এবার।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার রাজাপুর, শালিকা, বাজিতপুর, হরিরামপুর, মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, আনন্দবাস, বাগোয়ান, দারিয়াপুর ও গাংনী উপজেলার চোখতোলা, ষোলটাকা, কসবা, সাহারবাটি, কাজীপুর, ধানখোলা গ্রামের বিস্তীর্ণ জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধানগাছে প্রচুর শীষ দেখা গেলেও হাতে নিলে বোঝা যায় ভেতরে চাল নেই। চিটা হয়ে গেছে।
রাজাপুর গ্রামের চাষি হেমায়েত উদ্দিন বলেন, “ফলন ভাল হয়েছিল। গাছে শীষ দেখে মন ভরে গিয়েছিল। পানি, সেচ, সার কোনো কিছুরই কমতি করিনি। কিন্তু এখন দেখছি সব চিটা!”
“ভাবলাম ধান পেকে গেছে। এবার কেটে ঘরে তুলব। কিন্তু ধান হাতে নিয়ে দেখি ভেতরের দানা অপুষ্ট। পুড়ে চিটা হয়ে গেছে,” বললেন আনন্দবাস গ্রামের চাষি সফিকুল খন্দকার।