অনেক দিন ধরে চলা গুঞ্জনকে সত্যি করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে রোববার রাতে, যা ঝড় তুলেছে ফুটবল বিশ্বে। বহুল আলোচিত এই সুপার লিগে যোগ দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
এই ১২ ক্লাবের সঙ্গে আরও তিনটি ক্লাব শিগগিরই যোগ দেবে বলে জানায় সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠাকালীন এই ১৫ ক্লাবের সঙ্গে প্রতি বছর কোয়ালিফাই করে আসা ৫ ক্লাব, মোট ২০ দল নিয়ে হবে এই টুর্নামেন্ট।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে সুপার লিগ। চেফেরিনের মতে, কিছু ক্লাবের স্বার্থের জন্য এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
“কিছু ক্লাবের স্বার্থের জন্য করা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ফুটবল বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা একমত সুপার লিগ একটি অর্থহীন প্রকল্প। এফএ, লা লিগা, সেরি আ, ফিফা, এফইএফ, প্রিমিয়ার লিগ সবাই এই উদ্ভট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। আমরা এই পরিবর্তনের অনুমতি দিচ্ছি না। এই লিগে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবে না।”
সুপার লিগের প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস। ইউভেন্তুসের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লি ও পেরেস অনেক আগে থেকেই এটির পরিকল্পনা করছিলেন বলে মনে করেন চেফেরিন।
“আমার জীবনে খুব গুরুতর বিষয় দেখেছি, কারণ আমি একজন আইনজীবী। কিন্তু এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি…সুপার লিগের ভাবনা কোভিড মহামারীর আগেই শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরেন্তিনো পেরেস ও আন্দ্রেয়া আগনেল্লির এমন ভাবনার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছিল। এটি খুবই স্বার্থপর ভাবনা, মহামারী বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবসময় আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছিল।”