ক্যাটাগরি

হৃদস্পন্দন ধীর হওয়ার লক্ষণ

‘বান্ডল ব্রাঞ্চ ব্লক’য়ের কারণে হৃদস্পন্দন কমে যায়। হৃদযন্ত্রের এই সমস্যা নির্ণয়ের জন্য কিছু লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মেয়ো ক্লিনিক জানিয়েছে এই রোগের কিছু লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে।

জ্ঞান হারানো: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ কোনো পরিচিত লক্ষণ চোখে পড়ে না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি ধারণাও করেন না যে তার কোনো রোগ থাকতে পারে। একটি উপসর্গ হলো জ্ঞান হারানো, ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ‘সিনকোপ’। জ্ঞান হারানো মোটেই অবহেলা করার মতো নয়। তাই এমনটা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ভয়ের কোনো কারণ আছে কি-না সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

পুরোপুরি জ্ঞান না হারালেও যদি জ্ঞান হারানোর অনুভূতি হয় তবে সেটাও আমলে নেওয়া উচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষার সেই অনুভূতিকে বলা ‘প্রিসিনকোপ’।

যে বিষয়গুলো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: ‘বান্ডল ব্রাঞ্চ ব্লক’ হৃদযন্ত্রের ডান কিংবা বাম পাশকে আক্রান্ত করবে। ফলে হৃদস্পন্দনের তাল হবে অনিয়মিত।

মেয়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদযন্ত্রের কোন পাশকে এই রোগ আক্রমণ করেছে তার ওপর নির্ভর করে রোগের কারণ।

বাম পাশ আক্রান্ত হওয়া পেছনে কারণ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, ‘হার্ট অ্যাটাক’, হৃদযন্ত্রের পেশিতে প্রদাহ কিংবা হৃদযন্ত্রের পেশিগুলো পুরু, দুর্বল ও শক্ত হয়ে যাওয়া। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ‘কার্ডিওমায়োপ্যাথি’।

অপরদিকে হৃদযন্ত্রের ডান পাশ আক্রান্ত হওয়া পেছনে কারণ হবে ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে ‘ব্লাড ক্লট’ সৃষ্টি হয়ে রক্তনালী আটকে যাওয়া। ‘হার্ট অ্যাটাক’, ‘কনজেনিয়াল হার্ট ডিফেক্টস’, ফুসফুসের রক্তনালীতে রক্তচাপ বেশি এবং হৃদযন্ত্রের পেশির প্রদাহ থেকেও ডান পাশ আক্রান্ত হওয়া সম্ভব।

ঝুঁকি

তরুণ ও মধ্যবয়স্কদের তুলনায় বৃদ্ধদেরই এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

‘কোরিয়ান জার্নাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত এক জরিপ অনুযায়ী, ৪০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ১.৭ শতাংশ এই রোগের আক্রান্ত হন। অপরদিকে যাদের বয়স ৬৫ বা তারও বেশি তাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩.৪ শতাংশ।

অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা

হৃদস্পন্দনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়া এই রোগের একটি অন্যতম ঝুঁকি। এমন উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি পরীক্ষা করিয়ে জানতে হবে ‘বান্ডল ব্রাঞ্চ ব্লক’ আপনাকে আক্রমণ করেছে কি-না।

সেই সঙ্গে অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে কি-না সেটাও জানা যাবে পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে।

আর বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারীর কারণেও হৃদযন্ত্রের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই যেকোনো সমস্যাতেই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন


যেভাবে বুঝবেন হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করা দরকার
 


হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার তিন খাবার
 


সুস্থ থাকুক হৃৎপিণ্ড
 


হৃদযন্ত্রের ক্ষতির অপ্রত্যাশিত কারণ