এছাড়া এই সময়ের মধ্যে সন্দেহভাজন ১০৬ জনের নমুনা
পরীক্ষায় একজনের পজিটিভ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
সৈয়দ মশিউর রহমান।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক
ইউসুফ আলী বলেন, করোনাভাইরাসসহ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের অজ্ঞাত ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা
জারি রয়েছে। গত ১৬ দিনে বেনাপোল হয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন আট হাজার ৯৫৫ জন বাংলাদেশি।
তাদের মধ্যে ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এছাড়া আরটিপিসিআর সনদ না থাকায় সন্দেহভাজন
যাত্রীদের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করেও পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে।
শনাক্ত রোগীদের যশোর সদর হাসপাতালের পাঠানো হচ্ছে
আর অন্য যাত্রীদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আহসান হাবিব বলেন,
কোনোভাবে যাতে অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী জেলা থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে না পারে সেজন্য
নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাচ্ছেন তারা যেন অন্ধ্রপ্রদেশে
না যান সেজন্যও সতর্ক করা হচ্ছে।
ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় দেশের অন্যান্য স্থল
বন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ওসি আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
বর্তমানে ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে গত বছরের জুলাইয়ের পর ইস্যু করা নতুন ভিসা আর ৭২ ঘণ্টার
মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ লাগছে। এ পথে যারা যাতায়াত করছেন তাদের ৮৫ শতাংশ মেডিকেল ভিসায়, ১০
শতাংশ ব্যবসা ভিসায়, অন্যরা শিক্ষা আর কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন।