সুপার লিগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে রোববার রাতে। ‘বিদ্রোহী’ এই লিগে যোগ দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব-রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
এরই মধ্যে খবর এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেমি-ফাইনালে খেলা নাও হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির। শুক্রবারে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
ফিফা আগেই জানিয়েছিল, সুপার লিগে খেললে ফুটবলারদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে জাতীয় দলের দুয়ার। সোমবার উয়েফাও দেয় একই হুমকি। এদিনই এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান জানায় ফিফপ্রো।
“এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ফুটবল সংস্কৃতি, ফুটবলের পরিচয় এবং বিশেষ করে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে খেলোয়াড় এবং তাদের সংগঠনগুলোর মধ্যে অনেক উৎকণ্ঠা এবং প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
“ফুটবল তার অনন্য সামাজিক এবং সাংস্কৃতির ঐতিহ্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেটা শুধু ফুটবল ও সমর্থকদের মাঝে অতুলনীয় সম্পর্ক তৈরি করে দেয়নি, অন্য যে কোনো খেলাধুলার চেয়ে পেশাদার এই খেলাটির বিস্তারের ভিতও তৈরি করে দিয়েছে। এটি টিকিয়ে রাখতে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।”
কোনো উদ্দেশ সাধনের জন্য খেলোয়াড়দেরকে ‘ব্যবহার’ না করার বার্তাও বিবৃতিতে দিয়েছে ফিফপ্রো।
“খেলোয়াড়দের কোনো পক্ষের সম্পদ ও উদ্দেশ্য সাধনের উপায় হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। ফিফপ্রোর কাছে এটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা ৬৪টি ‘ন্যাশনাল প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ৬০ হাজার খেলোয়াড়ের প্রতিনিধি। যে কোনো পক্ষের নেওয়া খেলোয়াড়দের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত, জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তের আমরা কঠোর বিরোধিতা করব।”
“খেলোয়াড়দের ও ফুটবলের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষায়, খেলাটির সব স্তরকে সমর্থন করে এবং বিদ্যমান ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”