সোমবার রাতে মামলা
দায়েরের পর এই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো
হয়েছে।
গ্রেপ্তার সুলতান উদ্দিন
(২৪) শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা
হলেন মুলাইদ গ্রামের নজুম উদ্দিনের ছেলে মিজান ফকির (৩০), সুরুজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম
হোসেন সুবল (২২) ও রানা (২৭)। এছাড়া মামলায় আরও অজ্ঞাত একজনকেও আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে সাদ্দাম
হোসেন সুবল ও রানা স্থানীয় এএসআর কম্পিউটার জ্যাকার নামক একটি পোশাক কারখানায় চাকরি
করেন।
ওই পোশাক শ্রমিকের
(৩২) বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, মেয়েটি মুলাইদ
গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। গত ১৭ এপ্রিল গভীর
রাতে বাড়ির মালিক তাকে ‘মিথ্যা অপবাদ’ দিয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেন।
“গভীর রাতে বাড়ির পাশে
রাস্তায় তাকে ঘুরতে দেখে স্থানীয় মিজান ফকির তার বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে তাদের
ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।”
পরে একই কক্ষে অন্যরাও
তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে এবং পরদিন দুপুরে ভাড়া বাড়ির ওই কক্ষ থেকে তাকে বের করে দেয়
বলে মেয়েটির অভিযোগ।
মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে
সোমবার রাতে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার ভোর রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শ্রীপুর
থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায়
চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ওই নারী।
একজন আটক রয়েছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।