মঙ্গলবার রাজশাহী সড়ক জোন,
বিআরটিসি, বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি
বলেন, “হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তা আজ সবাই জানে।
হেফাজতে ইসলাম সম্প্রতি যে তাণ্ডবলীলা চালায়, তার শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই নয় বরং এসব সহিংস
ঘটনায় জড়িত ছিল বিএনপি।”
সহিংসতার ঘটনায় কোনো দল বা
আলেম-ওলামা দেখে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
“যারা এ তাণ্ডবলীলার সাথে সরাসরি জড়িত, বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দিয়েছে, তাদের ভিডিও
দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
সরকার গণবিচ্ছন্ন বলে বিএনপি
নেতাদের দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “গত তের বছর যাবৎ ধারাবাহিক ব্যর্থতার গ্লানিবোধ
থেকে বিএনপি এসব কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপিই জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত ও
গণবিচ্ছিন্ন।
“বিএনপি এক যুগের বেশি সময়
ধরেই আন্দোলনের হাঁক-ডাক দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আন্দোলনই নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন
এবং উপনির্বাচনে নির্লজ্জ ভরাডুবিই প্রমাণ করে জনগণ থেকে কারা জনবিচ্ছিন্ন।”
তিনি আরও বলেন, “করোনাভাইরাসের
এ সময়ে রাজনৈতিক বিরূপ মন্তব্য করা সমীচীন নয়। পারস্পরিক দোষারোপ কারওই এসময় করা উচিত
নয়। কিন্তু নিত্যদিন বিএনপির মিথ্যাচার ও অন্ধ সমালোচনার জবাব দিতে হয়। জন্মলগ্ন থেকে
যে দল অগণতান্ত্রিক পথরেখা ধরে হেঁটেছে তারা আজ গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে এবং সবক
দিচ্ছে দেশ ও জাতিকে।”
বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে ‘না’
ভোটের বাক্সবিহীন ‘হ্যা-না’ ভোট আর রাতের বেলায় কারফিউ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,
“বিএনপির গণতন্ত্র মানে ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, মাগুরা, ঢাকা-১০ আসনের
উপনির্বাচন আর এক কোটি তেইশ লাখ ভুয়া ভোটারের প্রস্ততি।
“গণতন্ত্রে বন্ধুর পথ ধরে
হাঁটছে শেখ হাসিনা, বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে অত্যন্ত
আন্তরিক বর্তমান সরকার। কিন্তু বিএনপি এ পথে বড় বাধা, তাদের অসহযোগিতা এবং বাধার কারণেই
গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে।”