ক্যাটাগরি

আগামী বাজেট দরিদ্রদের জন্য: অর্থমন্ত্রী

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা
কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

ইতোমধ্যেই বাজেট প্রণয়নের প্রস্তুতি হিসাবে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ
বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে টানা বৈঠক করে যাচ্ছে বাজেট প্রণয়ন কমিটি।  মহামারী বিচেনায় নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য ও পণ্যের ওপর
শূল্ক কমানোর প্রস্তাব আসছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিচার্স
সেন্টার ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্প্রতি দারিদ্র্য
পরিস্থিতি নিয়ে এক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সেখানে দেখানো হয়, মহামারীর কারণে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাওয়াদের
মধ্যে অনেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ এখনও দরিদ্র্যই থেকে গেছে।
অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার কারণে তারা অতি সহজের দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে গিয়েছিল। ফলে এদেরকে
নতুন দরিদ্র্য বলা চলে।

এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যদি এ
ধরনের কোনো গবেষণা প্রতিবেদন বের হয়ে থাকে সেটা আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখবে। তারা
যদি এ বিষয়ে কোনো এসেসমেন্ট করে সেটাই আমরা গ্রহণ করব। বিবিএসের পরিসংখ্যান এখনও হয়
নাই। সেটা যখন হবে তখন আমরা গ্রহণ করবো, আপনাদেরকে জানাব।”

আগামী বাজেটে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কোনো
পরিকল্পনা আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আগামী বাজেটটি নিবেদিত থাকবে এদেশের
দরিদ্র্য মানুষের জন্য। এরাই অগ্রাধিকার পাবে। আমরা মানুষের জীবন জীবিকার জন্যে বাজেটে
জায়গা করে দেব।

“গরিব মানুষের জন্য আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- যারা অতিরিক্ত গরিব
আছে তাদেরকে সেই অবস্থা থেকে বের করে নিয়ে আসা। যারা অতিরিক্ত গরিব আছে তারা গরিব হবে,
আর যারা গরিব হিসাবে রয়েছে তাদেরকে নিয়ে আসব মূল স্রোতধারায়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ
করে যাচ্ছি।“

চলমান লকডাউন ও রোজাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ৩৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে সরকার। অচিরেই এই অর্থ বিতরণ শুরু
হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এছাড়া পর্যাপ্ত তথ্য প্রস্তত না থাকার কারণে গত বছর এধরনের অর্থ
বিতরণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাটা প্রস্তত হয়ে গেলে অর্থ বিতরণে
সময় বেশি লাগবে না।