টিকা উৎপাদনের
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই কোম্পানি বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের রাজ্য সরকারগুলোর
কাছে তারা প্রতি ডোজ টিকা বিক্রি করবে ৪০০ রুপি (৫.৩০ ডলার) দরে। আর বেসরকারি হাসপাতালো
এই টিকা চাইলে প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৬০০ রুপি (৭.৯৫ ডলার)।
সেরাম ইনস্টিটিউট
বলেছে, এ মুহূর্তের জরুরি চাহিদা এবং পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে
আলাদাভাবে টিকা সরবরাহ করা হবে কঠিন কাজ।
“কর্পোরেট
ও বেসরকারি খাতের সবাইকে আমরা বলব, রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে
আপনারা টিকা পাওয়ার চেষ্টা করুন।”
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার
করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতে
ইতোমধ্যে এ টিকার ১১ কোটি ২০ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
এছাড়া ভারতীয়
কোম্পানি ভারত বায়োটেক তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাজারজাত করছে কোভ্যাক্সিন নামে।
সাম্প্রতিক
সময়ে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় টিকা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে
এ দুটি কোম্পানিকে ৪৫.৬৭ বিলিয়ন রুপি (৬১ কোটি ডলার) অনুদান দিয়েছে দেশটির সরকার।
সেরাম ইনস্টিটিউট
এখন মাসে ৭ কোটি ডোজ টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে পারে। মে মাসের শেষে এই উৎপাদন সক্ষমতা
১০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে ওই অনুদান চেয়েছিল তারা।
ভারত
সরকারের পাশাপাশি ব্রাজিল, মরক্কো, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও
টিকা সরবরাহ করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি কোভ্যাক্সকেও ২০ কোটি ডোজ
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে এ ভারতীয় কোম্পানির।