ক্যাটাগরি

বেনজেমার জোড়া গোলে শীর্ষে রিয়াল

প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা।
জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা, অন্যটি আলভারো ওদ্রিওসোলার।

গত অক্টোবরে রিয়ালকে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল এ মৌসুমেই লা লিগায়
ফেরা কাদিস। তাছাড়া পাঁচ বছর আগে সবশেষ এই মাঠে খেলতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল রিয়ালের।
কোপা দেল রের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জিতলেও তখন নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেনিস চেরিশেভকে
খেলানোয় টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার হয়েছিল তারা। পুরনো ক্ষতে এবার কিছুটা প্রলেপ দিল
রিয়াল।

বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা ১২ ক্লাবের একটি রিয়াল। ভেস্তে
যেতে বসা প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টটিতে টিকে থাকা দুই দলের একটিও তারা। ওই ঘটনা কেন্দ্র
করে সবখানে চলছে বিতর্ক, প্রতিবাদ। এই ম্যাচের আগেও স্টেডিয়ামের বাইরে কাদিস সমর্থকরা
প্রতিবাদ জানায়।

তবে মাঠের লড়াইয়ে জিদানের দুর্ভাবনার একমাত্র কারণ খেলোয়াড় সঙ্কট। চোট ও করোনাভাইরাসের
ছোবলে এই ম্যাচে পাঁচ জন ডিফেন্ডারকে একাদশে রাখেন কোচ। পছন্দের ফর্মেশন পাল্টে খেলেন
৩-৪-৩ এ।

গেতাফের বিপক্ষে রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিতে গিয়ে মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ হারাতে দেখা
গিয়েছিল রিয়ালকে। লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুসকে ছাড়া এদিনও প্রথমার্ধে সেখানে তেমন উন্নতির
দেখা মেলেনি।

শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করে কাদিস।
দ্বাদশ মিনিটে মিডফিল্ডার হায়রো ইসকুয়ের্দোর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।

ধীরে ধীরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে রিয়াল। পারছিল না তেমন চাপ দিতেও। এর
মাঝেই ৩০তম মিনিটে বেনজেমার সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সে ভিনিসিউস জুনিয়র
পেছন থেকে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

এগিয়ে গিয়ে যেন ছন্দ ফিরে পায় রিয়াল। সাত মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে
বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।

৩৩তম মিনিটে দারুণ গোছালো আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। বাঁ দিকে ডি-বক্সে
একজনকে কাটিয়ে ডান পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়ান বেনজেমা। হেডে লা লিগায় নিজের প্রথম গোল
করেন রাইট-ব্যাক ওদ্রিওসোলা।

৪০তম মিনিটে ডান দিক থেকে কাসেমিরোর ক্রস ফাঁকায় পেয়ে নিখুঁত হেডে স্কোরলাইন
৩-০ করেন বেনজেমা। আসরে ২১ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় দুইয়ে উঠলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
২৩ গোল নিয়ে শীর্ষে লিওনেল মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন জিদান। চোট কাটিয়ে ফেরা
রাফায়েল ভারানেকে তুলে নামান অনেক দিন পর ফেরা দানি কারভাহালকে। খানিক পর তুলে নেন
বেনজেমা ও মার্সেলোকেও।

বাকি সময়ে কোনো পক্ষই নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

৩২ ম্যাচে ২১ জয় ও সাত ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৭০। সমান পয়েন্ট ৩১ ম্যাচ
খেলা আতলেতিকোর।

লেভান্তেকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে ৩২ ম্যাচ খেলা সেভিয়া।
৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে বার্সেলোনা।