আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। গাস্তন বুর্গমানের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বিরতির আগে-পরে দুই গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন আলেক্স সান্দ্রো। ব্যবধান বাড়ান মাটাইস ডি লিখট।
দলটির বিপক্ষে প্রথম দেখায় গত ডিসেম্বরে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল ইউভেন্তুস।
এক ম্যাচ পর লিগে জয়ে ফিরল গত ৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। গত রাউন্ডে আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে চারে নেমে গিয়েছিল তারা।
বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দেওয়ার পর এটিই ইউভেন্তুসের প্রথম ম্যাচ। গত রোববার রাতে টুর্নামেন্টটি চালুর ঘোষণার পর থেকে তুমুল সমালোচনা ও চাপের মুখে প্রতিষ্ঠাকালীন ১২ ক্লাবের ৯টি এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছে। ইউভেন্তুস এখনও সরে না দাঁড়ালেও ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ও সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লির জানান, প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টটির মাঠে গড়ানোর তেমন সম্ভাবনা এখন আর দেখছেন না তিনি।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ইউভেন্তুস। নবম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান পেশির চোটে আতালান্তার বিপক্ষে খেলতে না পারা রোনালদো। ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
খেলার ধারার বিপরীতে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় পার্মা। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে চমৎকার ফ্রি কিকে গোলটি করেন বুর্গমান। নড়ার সুযোগ পাননি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফফন।
৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দিবালার শট উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে। দুই মিনিট পর কর্নারে সান্দ্রোর ক্রসে লিওনার্দো বোনুচ্চির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৪৩তম মিনিটে সান্দ্রোর দারুণ গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। কর্নার থেকে আসা বল ডি-বক্সে ডি লিখট হেডে বাড়ান সান্দ্রোকে। প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাফ ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন সান্দ্রো। রোনালদো ডান দিকে পাস দেন হুয়ান কুয়াদরাদোকে। কলম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডের ক্রসে লাফিয়ে বলের নাগাল পাননি দিবালা। দূরের পোস্টে থাকা সান্দ্রো হেডে বল জালে পাঠান।
৬৪তম মিনিটে আর্থারের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ইউভেন্তুস। ওসোরিওর জোরালো হেডে বল যাচ্ছিল জালে। গোললাইন থেকে হেডে ফেরান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। এর তিন মিনিট পরই কুয়াদরাদোর কর্নারে হেডে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ডি লিখট।
শেষ দিকে দূর থেকে রোনালদোর জোরালো শট বাইরে দিয়ে গেলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
৩২ ম্যাচে ১৯ জয় ও আট ড্রয়ে ইউভেন্তুসের ৬৫ পয়েন্ট। ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে নেমে গেছে এক ম্যাচ কম খেলা আতালান্তা। তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে নাপোলি।
দিনের অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠে সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে এসি মিলান, ৩২ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে দুইয়ে।
স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে ১-১ ড্র করা ইন্টার মিলান ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
২০ পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম স্থানে পার্মা।