করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর পর বৃহস্পতিবার ছিল ষষ্ঠ লেনদেন দিবস, আর
এই ছয় দিনই সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে।
ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ৮১
পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৪৩৫ দশমিক ০৩ পয়েন্ট হয়েছে।
ডিএসইতে
লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে
এদিন, যা আগের কর্মদিবসের চেয়ে ১০৬ কোটি টাকা বেশি।
ঢাকার
বাজারে এদিন লেনদেন হয়েছে ৩৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যার
মধ্যে ১৪৩টির দর বেড়েছে, ১৩৫টির কমেছে এবং ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানি হল- বেক্সিমকো লিমিটেড,
বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, রবি অজিয়াটা,
বিএটিবিসি, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম, পূরবী জেনারেল
ইন্স্যুরেন্স ও স্কয়ার ফার্মা।
দাম
বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি হল- ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স,
ন্যাশনাল ফিড মিল, শাইনপুকুর সিরমিক, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, নাহী
অ্যালুমিনিয়াম, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফ্ফুল ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএম বিডিবিএল
মিউচুয়াল ফান্ড ও পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
সবচেয়ে
বেশি দর হারানো ১০ কোম্পানি হল- প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, এমআই সিমেন্ট, আজিজ
পাইপস, এমারেল্ড ওয়েল, জি কিউ বলপেন, জেনারেশন নেক্সট, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রিন
ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফারইস্ট ফাইন্যান্স।
অপর
বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ১২ দশমিক ৩৪
পয়েন্ট বা দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৭২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট হয়েছে।
সিএসইতে
৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি।
এ
বাজারে লেনদেন হওয়া ২৪৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০২টির দর
বেড়েছে, ৯৫টির কমেছে এবং ৫১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।