বুধবার রাতে
হোটেলে ওই হামলা চালানো হয়।
কোয়েটা সফররত পাকিস্তানে
চীনের রাষ্ট্রদূত ওই হোটেলে উঠলেও বিস্ফোরণের সময় তিনি সেখানে ছিলেন না বলে
জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ।
রাষ্ট্রদূত
নিরাপদে আছেন জানিয়ে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো বলেন, “একটু আগেই তার (রাষ্ট্রদূত)সঙ্গে
আমি দেখা করেছি। তার মনোবল চাঙ্গা আছে।”
রাষ্ট্রদূতের সফর বৃহস্পতিবার
শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রাদেশিক সরকারের
মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এক টুইটে জানিয়েছেন, হামলার আগে দিনের বেলায় চীনা রাষ্ট্রদূত
নঙ রঙ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
নাসির মালিক নামের
একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেরেনা হোটেলের কার পার্কিংয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
ঘটানো হয়।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের
কর্মকর্তা ওয়াসিম বেগ চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের
অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এই হামলার দায়
স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান।
তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের
(টিটিপি) একজন মুখপাত্র এসএমএস বার্তায় রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এটি ছিল একটি আত্মঘাতি
হামলা।
চীনা রাষ্ট্রদূত কিংবা
প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এ অঞ্চলে
এর আগেও চীনের নাগরিক এবং বিভিন্ন প্রকল্পে তালেবান হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলের
কাছেই রয়েছে ইরানের কনস্যুলেট এবং প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবন।