ক্যাটাগরি

বিবর্ণ মুস্তাফিজ, পাডিক্কালের ঝড়ো সেঞ্চুরি

মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার
বিরাট কোহলির দলের জয় ১০ উইকেটে। ১৭৮ রানের লক্ষ্য পাডিক্কাল ও কোহলির উদ্বোধনী
জুটিতে বেঙ্গালোর পেরিয়ে যায় ২১ বল বাকি থাকতে।

দারুণ সেঞ্চুরিতে ৫২
বলে ১০১ রান করেন পাডিক্কাল। তার ইনিংসটি সাজানো ১১ চার ও ৬ ছক্কায়। ৪৭ বলে ৬ চার
ও ৩ ছক্কায় ৭২ রান করেন কোহলি।

৩.৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে
উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উইকেট ছিল একটু মন্থর। তবে লাইন-লেংথ ঠিক
রাখতে পারেনি রাজস্থানের বোলাররা। তাই কাজেও লাগাতে পারেনি সুবিধা।

মুস্তাফিজ বল হাতে পান
পঞ্চম ওভারে, প্রতিপক্ষের
রান যখন বিনা উইকেটে ৩৯। বাঁহাতি পেসারের দুটি ডট বলের পর বাউন্ডারি মারেন
পাডিক্কাল। পরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এক হাতে চেষ্টা
করলেও কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি মুস্তাফিজ। শেষ বলে হজম করেন ছক্কা। ওভার থেকে
আসে ১০ রান।

শুরু থেকে আগ্রাসী
ব্যাটিংয়ে পাডিক্কাল ৮ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করেন ২৭ বলে। তাকে দারুণ সঙ্গ
দেন কোহলি। ৯ ওভারে দলের রান দাঁড়ায় ৯৬।

দেবদূত পাডিক্কালের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: আইপিএল

দেবদূত পাডিক্কালের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি: আইপিএল

দশম ওভারে বোলিংয়ে
ফেরেন মুস্তাফিজ। প্রথম তিন বলে আসে তিনটি সিঙ্গেল। চতুর্থ বল পুল করে গ্যালারিতে
আছড়ে ফেলেন পাডিক্কাল। এই ওভারে আসে ১১ রান।

পরে হাত খোলেন কোহলিও।
৩৪ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৬
হাজার রানের মাইলফলক।

পাডিক্কাল ও কোহলির
সামনে রাজস্থানের বোলাররা যেন বল ফেলার জায়গাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ১৫তম ওভারে
অবশ্য দারুণ বোলিং করেন মুস্তাফিজ,
দেন কেবল ৩ রান।  

মুস্তাফিজের পরের ওভারে
বাউন্ডারি মেরেই ৫১ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন পাডিক্কাল। বাঁহাতি পেসারের ওয়াইডে
চার হলে জয়ের বন্দরে পা রাখে বেঙ্গালোর।

এর আগে টস হেরে
ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থানের শুরুটা ভালো হয়নি। ১৮ রানের মধ্যেই জস বাটলার, মানান ভোহরা ও ডেভিড মিলারকে হারায় তারা। দলীয়
স্কোর পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে বিদায় নেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও।

সেখান থেকে দলটির রান
১৭০ ছাড়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংস
সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন শিভাম দুবে। তার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রানের জুটির পথে ১৬
বলে ২৫ রান করেন রিয়ান পারাগ।

২৩ বলে ৪টি চার ও ২
ছক্কায় ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রাহুল তেওয়াতিয়া।

সেই রান পরে মামুলি
বানিয়ে ছাড়লেন পাডিক্কাল ও কোহলি। বেঙ্গালোর জিতল প্রথম চার ম্যাচেই।

সংক্ষিপ্ত
স্কোর:

রাজস্থান
রয়্যালস:
২০ ওভারে ১৭৭/৯ (বাটলার ৮, ভোহরা
৭, স্যামসন ২১, মিলার ০, দুবে ৪৬, পারাগ ২৫, তেওয়াতিয়া
৪০, মরিস ১০, গোপাল ৭*, সাকারিয়া ০, মুস্তাফিজ ০*; সিরাজ
৪-০-৩৭-৩, জেমিসন ৪-০-২৮-১, রিচার্ডসন
৩-০-২৯-১, চেহেল ২-০-১৮-০, সুন্দর
৩-০-২৩-১, হার্শাল ৪-০-৪৭-৩)

রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর:
১৬.৩ ওভারে ১৮১/০ (কোহলি ৭২*, পাডিক্কাল ১০১*; গোপাল ৩-০-৩৫-০, সাকারিয়া ৪-০-৩৫-০, মরিস ৩-০-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৩.৩-০-৩৪-০, তেওয়াতিয়া ২-০-২৩-০, পারাগ ১-০-১৪-০)

ফল: রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ১০ উইকেটে জয়ী

ম্যান
অব দা ম্যাচ:
দেবদূত পাডিক্কাল।