এগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা
ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করেছে।
পাবলিক এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবছর সবগুলো শিক্ষা বোর্ড
মিলে ১০ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবেন।
এর মধ্যে একহাজার ১২৫ শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ও ৯ হাজার ৩৭৬
শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পাবেন।
মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রতি মাসে ৮২৫
টাকা ও বছরে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৭৫
টাকা এবং বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের
পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
জেএসসি ও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এইচএসসির
ফল প্রকাশ করা হয়। আর এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড মেধাবৃত্তি
ও সাধারণ বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট ৩ হাজার ১২৭ জন শিক্ষার্থী
বৃত্তি পেয়েছেন। মেধাবৃত্তি পেয়েছে ৪২৭ জন এবং সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ২ হাজার ৭০০
জন শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২১৪ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১০৬ জন এবং
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১০৭ জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি পেয়েছেন।
আর সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন বিজ্ঞান বিভাগের ১ হাজার ৩৫০ জন,
মানবিক বিভাগের ৬৭৫ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৩১ জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ও ৫৯২ জন
শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৪১ জন মেধাবৃত্তি ও ৫৭০ জন সাধারণ
বৃত্তি, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ৬৯ জন মেধাবৃত্তি ও ৮৯৬ জন সাধারণ বৃত্তি এবং ময়মনসিংহ
শিক্ষা বোর্ডে ৭২ জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ও ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী
সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে বৃত্তির গ্যাজেট প্রকাশে গত ১২ এপ্রিল
নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নির্দেশনা অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির জন্য যথাক্রমে চট্টগ্রাম
বোর্ডের ৮৬ ও ৭২৯, রাজশাহী বোর্ডের ১৯৪ ও ১ হাজার ২৬২, যশোর বোর্ডের ৯৪ ও ১ হাজার ২
এবং দিনাজপুর বোর্ডের ১১১ ও ও ৯৬৬ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশের কথা ছিল।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই চার শিক্ষা বোর্ড তালিকা প্রকাশ না করলেও এর কোনো
ব্যাখ্যা দিতে পারেনি মাউশি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাউশির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো.
গোলাম ফারুক বলেন, “তারা কেন তালিকা প্রকাশ করেনি তা বলতে পারছি না।”