ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো.
মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।
এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি ঘটে ওই চিকিৎসকের।
শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, “এটি
নিয়মিত তার বদলির অংশ, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। তার বদলির বিষয়টি আগে থেকেই প্রক্রিয়াধীন
ছিল।”
কঠোর লকডাউনের মধ্যে গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একজন নারী চিকিৎসকের
পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমাণ
আদালতে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতন্ডার ভিডিও ফেসবুকে
ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং বাংলাদেশ
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার
দাবি জানায় চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ।
চিকিৎসক-পুলিশ পাল্টাপাল্টি বিবৃতি
অন্যদিকে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্ট ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক
আচরণের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
মহামারীর রাশ টানতে গত ১৪ এপ্রিল সরকার জনসাধারণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ
আরোপের পর পুলিশ জরুরি প্রয়োজনে কারও বের হতে মুভমেন্ট পাস নেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এরপর ওই মুভমেন্ট পাস দেখার নামে পুলিশ হয়রানি করছে বলে অভিযোগ আসতে থাকে
চিকিৎসকদের কাছ থেকে; যদিও জরুরি সেবায় রত চিকিৎসকদের পরিচয়পত্রই তাদের পাস বলে নির্দেশনা
দেওয়া হয়।
এর মধ্যেই রোববার এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশের তল্লাশিতে আটকা পড়েন বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। তখন তার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার
তর্কাতর্কির একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।