এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি লেনোর ওই আত্মঘাতী গোলেই জিতেছে এভারটন।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে দুই লেগেই আর্সেনালকে হারাল এভারটন। গত ডিসেম্বরে প্রথম দেখায় গুডিসন পার্কে ২-১ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল।
ভেস্তে যেতে বসা ইউরোপিয়ান সুপার লিগের বিরুদ্ধে সমর্থকদের সোচ্চার অবস্থান ছিল এই ম্যাচেও। স্টেডিয়ামের বাইরে হাজারো সমর্থক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়। কয়েকজনের হাতে ছিল আর্সেনালের মার্কিন মালিক স্ট্যান ক্রোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে লেখা প্ল্যাকার্ড। ‘আমরা ক্রোয়েঙ্কাকে চাই না’ ও ‘আমাদের ক্লাব থেকে চলে যাও’-এই বলে চিৎকার করছিল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে আর্সেনাল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ তিনটি সুযোগের সবকটিই পায় এভারটন। তবে কাছ থেকে ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইনের লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডের পর রিশার্লিসনের শট ঠেকিয়ে দেন লেনো। আর ৪০তম মিনিটে আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার গিলফি সিগুর্দসনের দারুণ ফ্রি কিক ক্রসবারে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে দানি সেবাইয়োস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। তবে আক্রমণের শুরুতে নিকোলাস পেপে কিঞ্চিৎ ব্যবধানে অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। ১৫ মিনিট পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সেবাইয়োসের জোরালো শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
এরপরই লেনোর ওই অবাক করা ভুল। ৭৬তম মিনিটে ডান দিকের বাইলাইন থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিশার্লিসনের নেওয়া শটে কোনো হুমকি ছিল না। সেটাই ধরতে গিয়ে তালগোল পাকালেন জার্মান গোলরক্ষক। বল তার ডান পায়ে লেগে খুঁজে নেয় ঠিকানা।
৩২ ম্যাচে ১৫ জয় ও সাত ড্রয়ে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে এভারটন। এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে তার পরে।
৩৩ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের খুব কাছে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুই নম্বরে।
ইউনাইটেডের সমান ৩২ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লেস্টার সিটি। চার নম্বরে চেলসির পয়েন্ট ৫৫। সমান পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই আছে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড।
৩৩ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পার। সমান পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলায় শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার আশা টিকে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।