ক্যাটাগরি

মাদানী রিমান্ড শেষে ফের কারাগারে

শনিবার দুপুরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২-এ পৌঁছে দেওয়া
হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানা ওসি কামরুল ফারুক।

এর আগে তাকে গাছা থানার অপর এক মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হয়।

কাশিমপুর কারাগার কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব)
গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে এ কারাগারে
হস্তান্তর করেছে।

তাকে এ কারাগারে আনার পর আলাদাভাবে একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। কারাগারে করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ রোধে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে আসামিদের বাইরে নেওয়া-আনার পর কোয়ারিন্টিনে রাখা
হয়। তারই অংশ হিসেবে রফিকুল ইসলামকেও আলাদা কক্ষে কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে বলেন তিনি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী কমিশনার শুভাশীষ ধর জানান, গত ১১ এপ্রিল
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টেকনগরপাড়ার কফিল উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নামে
এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত ১৮ এপ্রিল আদালতে
আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাখাওয়াত হোসেন।

ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
শেখ নাজমুন নাহার গত বুধবার ভার্চুয়াল রিমান্ড শুনানি করেন। শুনানি
শেষে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের
বিচারক।

তাকে বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসন থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো
হয়।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, জিজ্ঞাসাবাদকালে
তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

জিএমপি’র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শুভাশীষ ধর আরো জানান, এর আগে গত
৮ এপ্রিল র‌্যাব-১ ডিএডি মোহাম্মদ খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায়
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে গ্রেপ্তার
করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার দুপুরে কাশিমপুর
কেন্দ্রীয় কারগার-২ থেকে তাকে গাছা থানায় নেওয়া হয়।

সেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত মঙ্গলবার তাকে একই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। এ
নিয়ে বাসন ও গাছা থানার দুই মামলায় তাকে চারদিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।