অনুরোধে সাড়া দিয়ে টুইটার ভারত থেকে আড়াল করে দিয়েছে টুইটগুলো। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র শনিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, টুইটার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট লুমেন ডেটাবেজকে জানিয়েছে, ওই টুইটগুলো সেন্সর করার জন্য ভারত সরকার জরুরি নির্দেশ জারি করেছিল।
লুমেনকে টুইটারের দেওয়া তথ্য বলছে, ভারত সরকার এপ্রিলের ২৩ তারিখ অনুরোধ জানায় এবং মোট ২১টি টুইটের কথা উল্লেখ করে। উল্লেখিত টুইটগুলোর মধ্যে রেভনাথ রেড্ডি নামের এক আইনপ্রণেতা, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা আভিনাশ দাসের টুইট রয়েছে।
টুইটারের উদ্দেশ্যে করা অনুরোধে ভারত সরকার নিজেদের ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০০০’ এর কথা উল্লেখ করেছে।
“আমরা যখন বৈধ আইনী কোনো অনুরোধ পাই, তখন তা আমরা টুইটার এবং স্থানীয় আইন দুটির আলোকেই পর্যালোচনা করি।” – এক ইমেইল বিবৃতিতে জানিয়েছেন টুইটার মুখপাত্র।
“যদি ওই কনটেন্ট টুইটারের নিয়ম ভেঙে থাকে, তাহলে আমরা তা সেবা থেকে সরিয়ে দেই। যদি সেটি কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকায় অবৈধ বলে গণ্য হয়, কিন্তু টুইটারের নিয়ম না ভাঙে, তাহলে হয়তো আমরা শুধু ওই অঞ্চল থেকে থেকে ওই কনটেন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিতে পারি।” –জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
টুইটার মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, কনটেন্ট আড়াল করে দেওয়ার ব্যাপারে মূল অ্যাকাউন্ট ধারীদের অবহিত করেছে তারা। তাদের কাছে টুইট প্রশ্নে আইনি নির্দেশ পাওয়ার ব্যাপারটিও তুলে ধরেছে।
খবরটি প্রথমে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ। তাদের ভাষ্যে, ওই নির্দেশের প্রভাব শুধু টুইটারের উপরে পড়েনি, অন্যান্যদের উপরেও পড়েছে।
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় এখন প্রতিদিনই নতুন বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারতে। গত তিন দিনেই প্রায় দশ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে।
ভারতের স্বাস্থ্য দপ্তর শনিবার জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে। তাতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ১ কোটি ৬৬ লাখে।
এক দিনে রেকর্ড ২ হাজার ৬২৪ জনের মৃত্যুতে ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনভাইরাস কী ঘটাতে পারে, ভারত ভয়ঙ্ককরভাবে তার জানান দিচ্ছে।