বিশ্বের সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগীর দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটি অন্যতম। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে হঠাৎ প্রাদুর্ভাব বেড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮,৮৪৮ জনে দাঁড়ায়, এদের মধ্যে ৬১ জনের মৃত্যু হয়
এই পরিস্থিতিতে রাজধানী নম পেনে ১৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন জারি করা হয়। শহরের কিছু এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যতিত অন্য কোন কারনে রেড জোনের বাসিন্দারা ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না, এ মর্মে বিধান জারি করা হয়।
এর ফলে রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোর হাজার হাজার বাসিন্দা খাদ্য সংকটে পড়ে সহায়তার জন্য আবেদন জানায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে মানুষকে ঘরে ঘরে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য চালু করা জরুরি হেল্পলাইনে ইতোমধ্যেই হাজারো মানুষ আবেদন করেছেন।
নম পেনের সিটি হলের ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে, লকডাউনে বাসায় আটকে থাকা কয়েক হাজার পরিবারকে ২৫ কেজি চাল, এক বাক্স সয়া সস, এক ব্যাগ মাছের সস ও এক ব্যাগ কৌটাজাত মাছ সরবরাহ করেছেন নগর কর্মকর্তারা।
পাঁচ জনের একটি পরিবারের কর্তা থর্ন মেং জানান, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ও লকডাউনের কারণে তার পরিবারের সকল আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বাড়িতে কোন খাবার নেই। তার ‘যত দ্রুত সম্ভব’ খাবার প্রয়োজন।
থর্ন মেংয়ের মত আরও অনেকেই জরুরি ভিত্তিতে খাবারের জন্য আবেদন করেছেন জরুরি হেল্পলাইনে।
শনিবার রাজধানী নম পেনের সব মার্কেট শনিবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট থেকেই বেশিরভাগ সংক্রমণ হয় জানিয়ে ৭ মে পর্যন্ত সব মার্কেট বন্ধ ও লকডাউন জারি থাকবে বলে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সব দোকানের সকল কর্মচারীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।