প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে
পিছিয়ে থেকে রোববার শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে দুই উইকেট হারিয়ে
কিছুটা চাপেও পড়ে যায় তারা। তবে তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং উড়িয়ে দেয় সেই চাপ।
বৃষ্টিতে খেলা আগেই শেষ
হওয়ার সময় ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। তার সঙ্গে ৭৩ রানের
জুটিতে মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৮৬ বলে ২৩ রান করে। তার ইনিংসে ছিল না একটিও বাউন্ডারি।
ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ
সম্মেলনে দুজনের ব্যাটিংয়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মুমিনুল বললেন, নিজ নিজ পরিকল্পনা
আর ধরনে ব্যাট করেছেন তারা।
“আপনারা যদি প্রথম থেকে
দেখেন, তামিম ভাইয়ের ব্যাটিংই এরকম। উনি ছোটবেলা থেকে এরকম ব্যাটিং করেন। অনেক আগে
থেকেই খেলার ধরন এরকম। আমার খেলার ধরন আরেক রকম। একেকজনের ধরন একেকরকম। উনি শট খেলতে
পছন্দ করেন। আমি যদি উনার মতো খেলতে যেতাম, এখন যে ১১টা সেঞ্চুরি আছে, তখন পাঁচটা থাকত
কিনা সন্দেহ।”
“একেকজনের খেলার ধরন একেকরকম,
খেলার পরিকল্পনা একেকরকম। যে যার পরিকল্পনায় খেলার চেষ্টা করে।”
ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও
তামিমের আগ্রাসী ইনিংস দলকে এনে দেয় বড় স্কোরের আত্মবিশ্বাস। ১৫ চারে ৯০ রান করে আউট
হন তিনি মাত্র ১০১ বল খেলে।
ওই ইনিংসেই মুমিনুল করেন
৩০৪ বলে ১২৭। সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২২৪ বলে, যা তার ক্যারিয়ারের মন্থরতম।
গত বছরের শুরুতেও বাংলাদেশের
হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল তামিমের। তবে সবশেষ ছয় ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি করে
মুমিনুল এখন শীর্ষে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে। তামিমের সেঞ্চুরি ৯টি।