মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওয়ান পাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী জরিনা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।
পরে শনিবার রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রাম থেকে জরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
জরিনার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মেয়েটির পরিবারের বরাতে ওসি বলেন, “আজিজুল ওই কিশোরীর সম্পর্কে দাদা হন। গত বছরের ২৫শে ডিসেম্বর আজিজুলের ঘরে পান আনতে গেলে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে ওইদিন রাতে মেয়েটির মুখে গামছা বেঁধে আজিজুল তাকে আবারও ধর্ষণ করেন।
“এ ঘটনা কাউকে বললে মেয়েটিকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়।”
এদিকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান ফেরদৌস।
তিনি বলেন, জরিনাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হবে। আর আজিজুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।