শনিবার জেলার এক নম্বর আমলি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম জানান।
অভিযোগপত্রের ৪৯ আসামির মধ্যে আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলও রয়েছেন।
অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ওপর আধিপত্য বিস্তার করার জন্য শহর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লা বাড়িতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি যমুনা ভবনে দুই দফা হামলা হয়।
১৮ মে সুবল চন্দ্র বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
গত বছরের ৭ জুন পুলিশ ওই মামলার আসামি হিসেবে বরকত ও রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে এই মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমসহ ২৫ ব্যক্তিকে।
সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলাও রয়েছে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম বিশ্বাস জানান, সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয় বলে তিনি জানান।