ক্যাটাগরি

আগুন আতঙ্কে ঠাকুরগাঁওয়ের সিঙ্গিয়া গ্রাম

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এই গ্রামের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সবাই সচকিত রয়েছেন।
বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আগুনে পোড়া বালিশ, তোশক ও অন্যান্য জিনিস।
প্রায় সব বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে পাতিলভর্তি পানি।

চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার চ্যাটার্জি বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রামে ৮৮টি পরিবারের বসবাস। তার মধ্যে প্রতিদিনই চার-পাঁচ
বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।

“আগুনের সঠিক রহস্য কেউ বলতে পারছে না। গোটা গ্রামের মানুষ আতঙ্কে
রয়েছে।”

গ্রামবাসীর ধারণা, অলৌকিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের এসব ঘটনা ঘটছে। তবে
আগুনের কারণ খুঁজতে দিন-রাত পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী।

প্রায় এক মাস আগে দিনের বেলা গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের (৪৮) খড়ের
ঘরে প্রথমে আগুন লাগে বলে তারা জানান।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা শফিউল্লাহ
বসুনিয়া বলেন, গত ৬ এপ্রিল ওই গ্রামের একটি খড়ের গাদায় আগুন লাগলে তাদের খবর দেওয়া
হয়।

“সেদিন আমি গিয়েছিলাম। আগুন নেভানো হয়। ওই আগুন নেভানোর পরপরই
আরেক জায়গায় আগুন লাগে। তাও নেভানো হয়। এরপর থেকে শুনছি এখন প্রায় সময় সেই গ্রামে আগুন
লাগছে। আগুনে কাপড়চোপড় ও ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আগুনের কারণ সঠিকভাবে বলতে পারছি না। মনে হচ্ছে পারিবারিক
শত্রুতার কারণে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। আবার অনেকেই বলছে জিন-ভূত আগুন ধরিয়ে
দিচ্ছে। তবে এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। আমরা এগুলো বিশ্বাস করি না।”

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ইউএনও মো. যোবায়ের হোসেন গ্রাম পরিদর্শন
করেছেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে বলা
হয়েছে। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে যেসব দপ্তর
কাজ করে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগে চেষ্টা চলছে।

“আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুরাহা হবে।”

পুলিশও তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) আবদুস সবুর।