সোমবার
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যার (৭৫) উপর এই হামলা চালানো হয় বলে মামলায় অভিযোগ
করা হয়।
এই
অভিযোগে সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুজিবর রহমান মোল্যা। ওই রাতেই
শাহিন শেখ নামের ওই যুবককে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার
আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আহত মুক্তিযোদ্ধাকে
মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মামলায়
অভিযোগ করা হয়, উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা
মুজিবর রহমান মোল্যার শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে খোকন মোল্যার (৪০) একটি মুদি দোকান আছে
গ্রামে।
একই
গ্রামের শাহিন শেখ ওই দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করতেন এবং শাহিনের কাছে খোকনের বেশ কিছু
টাকা পাওনা হয়ে যায় বলে মামলায় বলা হয়।
“সোমবার
বিকালে শাহিনের কাছে ওই পাওনা টাকা চাইলে তিনি দোকানের মালামাল ভাংচুর করেন।”
হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন মুজিবর রহমান মোল্যা বলেন, দোকান ভাংচুরের সংবাদ জানতে পেরে তিনি শাহিনের
বাড়ি গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে শাহিন তাকে মারধর করেন।
“আমাকে
মারধরের সংবাদ পেয়ে আমার ছেলে, পুত্রবধূসহ পরিবারের সদস্যরা শাহিনের বাড়ি গেলে তাদেরও
মারধর করা হয়।”
শাহিন
ওই সময় তার পুত্রবধূর গলা থেকে সোনার চেইন ছিড়ে নেন এবং পুত্রবধূর শ্লীলতাহানি
করেন বলেও মুজিবর অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায়
সোমবার রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।
মধুখালী
থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।
সোমবার রাতেই আসামি শাহিনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো
হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. খুরশিদ আলম বলেন, “একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার
উপর এধরনের হামলা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।”
মঙ্গলবার
দুপুরে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান
মোল্যাকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান মুরাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা
মো. খুরশিদ আলম প্রমুখ।